আইসিজে বিস্তারিত মতামতে জোর দিয়ে বলেছেন, দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরাইলের দায়িত্ব হলো স্থানীয় জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করা। গাজার জনসংখ্যাকে যে সহায়তা দেয়া হয়েছে তা অপর্যাপ্ত। তাই ইসরাইলকে মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে এবং এগুলোর বাধা দিতে পারবে না।
আদালত জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে ইসরাইল ত্রাণের প্রবেশ কঠোরভাবে সীমিত করেছে এবং ২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া মানবিক ও চিকিৎসা সরবরাহও বন্ধ রাখা হয়। এরপর ১৯ মে থেকে সীমিত পরিমাণে সহায়তা পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ-এর বহু কর্মী হামাসের সঙ্গে যুক্ত এমন অভিযোগ প্রমাণে ইসরাইল ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আইসিজে। তবে আইসিজে-র এই রায়কে ‘সম্পূর্ণ অনুমানযোগ্য’ ও ‘রাজনৈতিক’ প্রচেষ্টা আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল।
আরও পড়ুন: ইসরাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান খ্যাতিমান ইহুদিদের
নেতানিয়াহু প্রশাসন ফের অভিযোগ করে বলেছে, ইউএনআরডব্লিউএ এখনও ১৪শ-র বেশি হামাস কর্মীকে নিয়োগ করে রেখেছে এবং তারা আন্তর্জাতিক আইনকে রাজনীতিকরণের চেষ্টা মেনে নেবে না।
এদিকে গাজা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলের নানা চাপের মধ্যেই এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরাইল। এবার অধিকৃত পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করতে ইসরাইলি পার্লামেন্টে একটি বিলে প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পশ্চিম তীরকে সংযুক্তকরণের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং আঞ্চলিক মিত্র দেশ জর্ডান।
চলমান ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ইসরাইল সফররত যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ সময় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দেন, গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনীর অংশ হিসেবে তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রবেশ মেনে নেবে না তেল আবিব।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতি ‘প্রত্যাশার চেয়েও ভালো চলছে’: জেডি ভ্যান্স
]]>
৪ সপ্তাহ আগে
৭







Bengali (BD) ·
English (US) ·