গাজার ৮৫ শতাংশ এলাকা ইসরাইলের দখলে: জাতিসংঘ

১ সপ্তাহে আগে
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকা হয় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে কিংবা উচ্ছেদ আদেশের মুখে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বুধবার (২ জুলাইল) জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উচ্ছেদ আদেশগুলো মানুষকে জরুরি সহায়তা পাওয়া থেকে মারাত্মকভাবে বঞ্চিত করছে এবং বিপদের মধ্যে থাকা মানুষের কাছে ত্রাণকর্মীদের পৌঁছানো কঠিন করে তুলছে।

 

তিনি জানান, গাজার দক্ষিণের খান ইউনিসের দুটি এলাকায় সর্বশেষ উচ্ছেদ আদেশ দেয়া হয়েছে। ওই এলাকায় প্রায় ৮০ হাজার মানুষ বাস করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জাতিসংঘের পানি, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করা অংশীজনেরা জানিয়েছেন, এই আদেশের কারণে আল সাতার নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ জলাধারে এখন প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

 

জাতিসংঘের মুখপাত্র বলেন, আল সাতার খান ইউনিসের প্রধান পানি সরবরাহ কেন্দ্র এবং ওই এলাকায় ইসরাইলি পাইপলাইন থেকে আসা পানির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। জলাধারটির কোনো ক্ষতি হলে শহরের পানি সরবরাহব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। ফলে ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি হবে।

 

আরও পড়ুন: হামাসের হামলার ৬৩৬ দিন পর কিবুটজ গেলেন নেতানিয়াহু, স্থানীয়দের বিক্ষোভ

 

তিনি বলেন, মার্চে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৭ লাখ ১৪ হাজার মানুষ আবার জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। শুধু গত রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৯ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

 

ডুজারিক বলেন, গত চার মাসে গাজায় কোনো আশ্রয় সহায়তা পৌঁছেনি। আমাদের আশ্রয় সহায়তা দানকারী অংশীদারেরা জানিয়েছে, জরিপ করা স্থানগুলোর ৯৭ শতাংশ এলাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষ খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছেন।

 

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি চায়, চুক্তিতে যুদ্ধের স্থায়ী অবসান ও গাজা থেকে সব ইসরাইলি সেনা সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি থাকতে হবে।

 

আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যায় ইসরাইলকে সহায়তা করছে মাইক্রোসফটসহ বহু প্রতিষ্ঠান

 

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে অগ্রগতি হলেও থেমে নেই উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার বাহিনীর বর্বরতা। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকাজুড়ে ত্রাণ নিতে গিয়ে ১২ জনসহ শতাধিক ফিলিস্তিনিতে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এসময় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৮১ জন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন