গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিক্ষোভ

৩ সপ্তাহ আগে
গাজায় ইসরাইলের নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। তারই ধারাবাহিকতায় কোরিয়া মুসলিম কমিউনির উদ্যোগে গাজায় হামলা ও নির্বিচারে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোবাবর (২৩ মার্চ) রাজধানী সিউলে ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অংশ নেন কয়েক শতাধিক মানুষ। যার বেশিরভাগই দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি। ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে গাজায় ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান তারা। 

 

সমাবেশে উপস্থিত হয়ে ইসরাইলের আগ্রাসনের তীব্র প্রতিবাদ জানান স্থানীয় কোরীয়রাও। এক কোরীয় নারী তার বক্তব্যে বলেন, গণহত্যাকারী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছে ইসরাইল। গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে গোটাবিশ্ব একসাথে প্রতিবাদ করতে হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আসুন ফিলিস্তিনি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সবাই হাতে হাত রেখে ইসরাইলের নির্মম গণহত্যা বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা কোরীয় বাসীরা গাজার পাশে আছি।’ পবিত্র মাহে রমজানে নিরস্ত্র অসহায় মানুষদের ওপর হামলা মুসলমানদের ওপর সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেন অন্যান্য বক্তরা।

 

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি হামলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান পোপ ফ্রান্সিসের

 

১৫ মাস ধরে ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর গাজাবাসীর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছিল যুদ্ধবিরতি। ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছিলেন তারা। 

 

কিন্তু যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরামর্শ করে গত সপ্তাহে নতুন করে গাজায় হত্যাযজ্ঞ শুরু করে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। সেই থেকে অবিরাম বোমাবর্ষণ চলছেই। আন্তর্জাতিক আইন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান- কোনো কিছু আমলে না নিচ্ছে না ইসরাইল। 

 

রোববার (২৩ মার্চ) ৫৩৩তম দিনের মতো গাজাজুড়ে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা সালাহ আল-বারদাউইলসহ অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ, বিক্ষোভ

 

গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৩ হাজার ২৭৪ জন।

 

স্থানীয়দের দাবি, ওই বিমান হামলায় হামাসের রাজনৈতিক দফতরের সদস্য বারদাউইল ও তার স্ত্রী নিহত হয়েছেন। তবে এ নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ইসরাইলি কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেননি।  

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন