প্রতিবেদন মতে, শুক্রবার (৬ জুন) সকালে খান ইউনিসের পূর্বে একটি ভবনে প্রবেশ করে দখলদার সেনাবাহিনীর ১২ সদস্যের একটি দল। ভবনটি বিস্ফোরিত হয়ে পাঁচজন নিহত এবং আরও দুইজন আহত হয়।
ইসরাইলি গণমাধ্যমের বরাতে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা সাফা জানায়, গাজা উপত্যকার ভেতর থেকে আহতদের সরিয়ে নেয়ার জন্য ইসরাইলি সামরিক হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। সেই হেলিকপ্টারে করে তাদের হাসপাতালে সরিয়ে নেয়া হয়।
ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্র জানায়, ইসরাইলি বিশেষ বাহিনী একটি ভবনে প্রবেশ করেছিল। যেখানে আগে থেকেই বোমা পেতে রাখা হয়েছিল। প্রবেশের পরই সেনারা বোমা বিস্ফোরণে আটকা পড়ে। একটি ভবন বিস্ফোরিত হয়ে সেনাদের উপর ধসে পড়ে।
আরও পড়ুন: আল-আকসায় হাজারো ফিলিস্তিনির ঈদের নামাজ আদায়
এটাকে ইসরাইলি স্থল বাহিনীর জন্য আরেকটি বড় আঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে বিরামহীন বোমাবর্ষণ সত্ত্বেও এই অঞ্চলে ক্রমশ প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
এর আগে গত সোমবার (২ জুন) গাজায় আরও তিন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়। আহত হয় আরও দুইজেন। মঙ্গলবার (৩ জুন) এক ঘোষণায় সেনা হতাহতের বিষয়টি জানায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।
এদিকে শুক্রবার ঈদের দিনেও গাজাজুড়ে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২২ জন নিহিত হয়েছে। এর ফলে এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৬৭৭ জনে। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৩০ জন।
তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস তাদের মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এরও বেশি বলে উল্লেখ করেছে। জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষ মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহার আগ মুহূর্তে বৈরুতে ইসরাইলের সিরিজ বোমা হামলা