শনিবার (২৫ অক্টোবর) মালয়েশিয়ায় আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে দোহায় এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি।
ট্রাম্প বলেন, ‘গত এক বছরে আমরা অনেক কিছু একসঙ্গে করেছি। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা — যা আমরা অর্জন করেছি, তা অবিশ্বাস্য। কাতার এতে বড় ভূমিকা রেখেছে, এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
আরও পড়ুন: গাজার শাসনব্যবস্থা টেকনোক্র্যাটদের হাতে তুলে দিতে রাজি ফিলিস্তিনি দলগুলো
পরে এক্স পোস্টে কাতারের আমির বলেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ ছিল মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পরিকল্পনা, গাজা যুদ্ধের অবসান চুক্তির অগ্রগতি এবং দুই দেশের কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার নিয়ে আলোচনা করার একটি ভালো সুযোগ।’
এই সাক্ষাৎ এমন সময়ে হলো যখন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ইসরাইল সফর করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুক্তির কয়েকটি দিক এখনো অস্পষ্ট-বিশেষত হামাসের নিরস্ত্রীকরণ ও গাজায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: গাজার আকাশে উড়ছে মার্কিন নজরদারি ড্রোন
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে, আর যদি না থাকে, তবে হামাসকে মোকাবিলা করা কঠিন কিছু নয়। গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে কাতারের সেনাবাহিনীও অংশ নেবে বলে ইঙ্গিত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, তারা একসঙ্গে টেকসই শান্তির লক্ষ্যে কাজ করছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে এখন ৫৯টি দেশ যুক্ত রয়েছে। অনেক দেশই এতে স্বাক্ষর করেছে। এটি একটি স্থায়ী শান্তি হওয়া উচিত।’
এদিকে ইসরাইলে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, গাজায় বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠনে জাতিসংঘের প্রস্তাব বা আন্তর্জাতিক অনুমোদনের প্রয়োজন হতে পারে। রুবিওর সঙ্গে আলোচনা শেষে ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানান, শান্তিরক্ষী বাহিনী এমন দেশ দিয়েই গঠিত হবে, যাদের নিয়ে ইসরাইল ‘স্বস্তি বোধ করে’।
সূত্র: আল জাজিরা
]]>
৩ দিন আগে
২







Bengali (BD) ·
English (US) ·