গাইবান্ধায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের (কর্মচারী) জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (শিক্ষক) পদে প্রমোশনের রায় দ্রুত প্রত্যাহারসহ ৬ দফা দাবিতে সোমবার (২১ এপ্রিল) গাইবান্ধায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

গাইবান্ধা সকল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ এই কর্মসূচির আয়োজন করে। বিক্ষোভ মিছিলটি গাইবান্ধা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শহরের ১নং রেলগেট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী শাকিল আহাম্মেদ, নাজমুল ইসলাম, বাধন, মেহেজাবিন জিম প্রমুখ।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে এক নম্বর হচ্ছে- জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।

আরও পড়ুন: যশোরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ

দ্বিতীয় দাবি- ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।

তৃতীয় দাবি- উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রীয়, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: মাথায় লাল ফিতা বেঁধে পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

চতুর্থ দাবি- কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোয় অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ ও সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

পঞ্চম দাবি- স্বতন্ত্র 'কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা' মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও 'কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন' গঠন করতে হবে।

আর ষষ্ঠ দাবি- পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতাভুক্ত অ্যাকাডেমি

]]>