গাইবান্ধায় ছড়িয়ে পড়েছে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’

২ সপ্তাহ আগে
গাইবান্ধা শহরের নতুন আতঙ্কের নাম ডেভিলস ব্রেথ (শয়তানের নিঃশ্বাস) বা স্কোপোলামিন ড্রাগ। ভুক্তভোগীরা বলছেন, নানা কৌশলে এই মাদক মানুষের ওপর প্রয়োগ করে মুহূর্তেই নিঃস্ব করা হচ্ছে। গত দুমাসে এমন অন্তত ১০টি ঘটনার পর ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত ৩ মার্চ দুপুরে গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারের গ্যাস ব্যবসায়ী আনজু বেগমকে দোকানের ঠিকানা জানতে চেয়ে একটি কাগজ মুখের সামনে দেখায় কয়েকজন যুবক। তাৎক্ষণিক কাগজে থাকা মাদকে আসক্ত হয়ে যুবকদের সঙ্গে পাশের একটি ভবনের সিড়ির নিচে যান তিনি। পরে নিজের স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা স্ব-ইচ্ছায় যুবকদের হাতে তুলে দেন।

 

এ বিষয়ে পরে ভুক্তভোগী আনজু বেগম সময় সংবাদকে বলেন, 

ওই যুবকরা আমার নাক বরাবর কাগজটি দেখায়। তখন তাদের সঙ্গে কীভাবে চলে গেলাম, নিজেও বুঝতে পারছিলাম না। তারা আমার স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল চেয়েছে, আর আমিও দিয়ে দেই। কীভাবে কী হয়ে গেল, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না!

 

আরও পড়ুন:  ছিনতাই-ডাকাতির শঙ্কা: চট্টগ্রামে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা

 

অপরাধ চক্রটি এখনও ধরা না পড়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের নিস্ক্রিয়তা নিয়ে। তারা বলছেন, একেকজন একেকভাবে আসে। কেউ আসে ছেঁড়া নোট পাল্টাতে, কেউ আসে টাকা ভাঙাতে। এমন নানা অজুহাতে এসে ডেভিলস ব্রেথের মাধ্যমে সব কিছু লুট করে নিচ্ছেন অপরাধীরা।  

 

পুলিশ বলছে, গত দুমাসে গাইবান্ধায় ডেভিলস ব্রেথ মাদক ব্যবহার করে ছিনতাইয়ের অন্তত ১০টি ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনায় মামলা হওয়ায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চক্রটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

 

আরও পড়ুন:  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অস্ত্র ঠেকিয়ে মাইক্রোবাসে ছিনতাই

 

গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরিফুল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় কাজ চলছে। কয়েকটি মামলা হয়েছে। আমাদের টিম এ বিষয়ে তদন্ত করছে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন