গাইবান্ধার সাবেক এমপি সারোয়ার কবির কারাগারে

২ দিন আগে
বিএনপি অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় গাইবান্ধা-২ সদর আসনের সাবেক এমপি শাহ সারোয়ার কবিরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে গাইবান্ধা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।


এর আগে তাকে দিনাজপুর থেকে কড়া নিরাপত্তায় বিকেলে গাইবান্ধা আদালতে নেয়া হয়।


গাইবান্ধা জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. মো. আবুল হালিম প্রামাণিক বলেন, ‘জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় সাবেক এমপিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় সাবেক এমপির পক্ষে আইনজীবীরা তার জামিনের জন্য আবেদন জানান। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


আরও পড়ুন: গাইবান্ধার সাবেক এমপি সারোয়ার দিনাজপুরে গ্রেফতার


এর আগে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোর রাতে দিনাজপুরে পুলিশের হাতে আটক হন গাইবান্ধা সদর আসনের সাবেক এমপি শাহ সারোয়ার কবির। পৌর শহরের ঈদগাহ বস্তি এলাকায় দীবা গার্ডেন নামে একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। শাহ সারোয়ার কবির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।

 

তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সারোয়ার কবির গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

 

গত বছরের ২৬ আগস্ট গাইবান্ধা সদর আসনের সাবেক এমপি শাহ সারোয়ার কবিরসহ আওয়ামী লীগের ৩৬৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়। মামলায় শাহ সারোয়ার কবিরসহ ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়। জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল হামলার ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে এই মামলা হয়। জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক আবদুল হাই বাদী হয়ে ওই মামলাটি করেন।


আরও পড়ুন: সাবেক এমপি আশেক উল্লাহ ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা


মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট জেলা শহরের সার্কুলার রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ঢোকেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে তালাসহ দরজা জানালা ভেঙে ভেতরের চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।


পরে  কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন এবং ভাঙচুর করা আসবাবপত্র বাইরে বের করে সেগুলোতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন