বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কাপাসিয়া, পাবনা, রাজশাহী, রংপুর, কক্সবাজার, কুমিল্লা, গাজীপুর, সাভার, কিশোরগাঞ্জ, ময়মনসিংহ, ফেনীসহ দেশের প্রায় সব জেলাতেই প্রান্তিক খামারিরা এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি। তীব্র তাপপ্রবাহ, লাগাতার লোডশেডিং ও বাজারে অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মুরগি। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির মৃত্যুর হার গড়ে ১০ শতাংশ এবং লেয়ার (ডিম পাড়া) মুরগির মৃত্যু ৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ডিম-মুরগির অস্থিরতা কাটাতে ১০ দফা বিপিএর
দেশে খামার রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার, প্রতিটি খামারে কমপক্ষে ৫-১০ শতাংশ মুরগি মারা গিয়েছে জানিয়ে সুমন বলেন, যার বাজারমূল্য ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। সে হিসাবে যদি প্রতিটি খামারে ক্ষতির পরিমাণ গড়ে ৫০ হাজার টাকা ধরা হয়, তাহলে লোকসানের পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকা দাঁড়ায়। এতে প্রান্তিক খামারিরা পুঁজি হারিয়ে খামার বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে সামনের দিনগুলোতে ডিমের উৎপাদন কমবে ৫ শতাংশ এবং মাংস উৎপাদন কমবে ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ, যা খাদ্যনিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।
তিনি বলেন, মাত্র ২০ শতাংশ ডিম ও মুরগি উৎপাদন করে যে করপোরেট কোম্পানিগুলো, সরকারের নজর সেখানেই সীমাবদ্ধ। অথচ দেশের ৮০ শতাংশ ডিম ও মুরগি উৎপাদন করেন প্রান্তিক খামারিরা, যারা অবহেলার শিকার। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে-তাদের অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে গেলেও কি সরকারের টনক নড়বে না?
এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে ৭০ থেকে ৮০ হাজার খামারি চরম ঋণের জালে পড়ে খামার বন্ধ করতে বাধ্য হবেন বলেও জানান সুমন হাওলাদার।
তিনি বলেন, প্রান্তিক খাতের এই বিপর্যয় সরাসরি হুমকির মুখে ফেলবে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান। তাই অবিলম্বে সরকারের উচিত প্রান্তিক খামারিদের দিকে নজর দেয়া এবং করপোরেট সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ধরা।
]]>