এই আয়োজনের সফলতা এবং ব্যর্থতার চিত্র সময়মতো দেখা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আয়োজক সংস্থা বিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের সহনশীলতা, বিনিয়োগ সম্ভাবনার অবস্থা সচক্ষে দেখে বিদেশিরা উচ্ছ্বসিত। সামিটের সফলতা নিয়ে বিডা চিন্তিত নয়, বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরাই ছিল সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য।
বিযা চেয়ারম্যান বলেন, ১০০টির মধ্য থেকে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্তভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেপালের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ সম্মেলনে সরকারের খরচ দেড় কোটি টাকা
সাংবাদিকদের বিডার চেয়ারম্যান আরও জানান, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে সমুদ্র বন্দর বা বে টার্মিনাল স্থাপনের জন্য বিদেশি কোম্পানি চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান বিডা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ওয়ান স্টপ সার্ভিসের সকল সেবা অনলাইন করা হবে। লাইসেন্সের ক্ষেত্রে সকল সেবা একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিডা।
ট্রানশিপমেন্ট বাতিলকে সুযোগ হিসেবে দেখার আহ্বান জানিয়ে চৌধুরী আশিক বলেন, এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ এয়ারপোর্টগুলোকে আপগ্রেড করার সুযোগ তৈরি হবে।
এছাড়া ব্রিফিংয়ে সম্মেলন আয়োজনে মাত্র দেড় কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান নাহিয়ান রহমান।
আরও পড়ুন: এপ্রিলের ১২ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১০৫ কোটি ডলার
নাহিয়ান রহমান বলেন, সামিটের মধ্যদিয়ে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ ঘোষণা এসেছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশের খরচ হয়েছে দেড় কোটি টাকা।
এছাড়া ৬টি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের তথ্যও জানান তিনি।
]]>