রোববার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ভোরে উত্তর গাজার অন্যতম প্রধান হাসপাতাল আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতাল ভবনে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল।
হামলায় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, অভ্যর্থনাকেন্দ্রসহ অন্যান্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসাকর্মীরা। এছাড়া অন্তত তিনজন নিহত হয়।
হাসপাতালটি ছিল উত্তর গাজার শেষ কার্যকর হাসপাতাল। গাজার এই অংশের অন্তত ১০ লাখ অধিবাসী এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেন।
ইসরাইলি বাহিনীর বোমা হামলার পর সেখানকার পরিস্থিতি সংকটময় হয়েছে। আল-আহলি হাসপাতাল থেকে শত শত রোগীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
কিন্তু তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা দেয়ার মতো তাদের অবস্থা নেই। তাই চিকিৎসা কর্মীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাদের সেবা দিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজার হাসপাতালে হামলা / চিকিৎসা পাচ্ছেন না রোগীরা, যাওয়ার জায়গা নেই অনেকের
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি আন্তর্জাতিক আইন, মানবিক নীতি ও বিশ্ব মানবতার স্পষ্ট অবমাননা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইসরাইল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার ৩৪টি হাসপাতাল ধ্বংস করেছে এবং অনাহার, তৃষ্ণা ও গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরবরাহের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল।
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনা / কাতারের পথে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি
সংঘাতের শুরুর দিকে ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর আল-আহলি হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করা হয়। সেদিনের হামলায় রোগী, উদ্বাস্তু ও চিকিৎসকসহ অন্তত ৪৭১ জন নিহত হয়।
]]>