গণঅভ্যুত্থানে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে: বুলু

৩ সপ্তাহ আগে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, জুলাই-আগস্টের যে অভ্যুত্থান হয়েছিল, সেই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের প্রিয় সেনাবাহিনী, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। সেনাবাহিনী যদি সেদিন জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াত, জেনারেল ওয়াকার যদি দাঁড়াতেন, তবে বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষ, লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতো।

শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত আট শহীদসহ দলীয় নেতাকর্মীদের পরিবারে নগদ টাকা ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, তিনি সারা পৃথিবীতে একজন সজ্জন ব্যক্তি। আপনাকে সবাই সম্মান করে, ইজ্জত দেয়। আপনি একজন নোবেলজয়ী ব্যক্তি, আঠারো কোটি মানুষ আপনাকে সম্মান করে। বাংলাদেশের সুনাম আপনি বয়ে এনেছেন। আপনি যখন নোবেল প্রাইজ নিয়ে আসেন, তখন শেখ হাসিনা আপনাকে অভিনন্দন জানায়নি। আপনার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছে। সেই শেখ হাসিনার পক্ষে এখনও যারা কথা বলেন, এমনকি যারা আওয়ামী লীগকে আবারও দাঁড় করাতে চান বা সহায়তা করতে চান, তারা দেশের হাজার-কোটি মানুষের শত্রু।’


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘নোবেল জয়ের পর বেগম খালেদা জিয়া আপনার জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করতে বলেন, আর শেখ হাসিনা তার বিরোধিতা করে। আপনি অনতিবিলম্বে অবাধ সুষ্ঠু সুন্দর জাতীয় নির্বাচন দিয়ে ইতিহাসে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখার ব্যবস্থা করেন।’


আরও পড়ুন: দ্রুত নির্বাচন না দিলে ফ্যাসিবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে: বুলু


তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ দেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের উত্থান দেখতে চাই না। এ দেশকে কোনো অবস্থাতেই পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা সিরিয়া বানাতে দেয়া হবে না। এ দেশে ইসলামি রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছেন মেজর জিয়াউর রহমান। তার কাছে সবার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। আর যারা এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক স্বীকার করে না, তাদের ভোট করা বা ভোটে দাঁড়ানোর কোনো অধিকার নেই।’


চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি জহির উদ্দিন হারুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাখ্যা চন্দ্র দাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক আবেদ প্রমুখ।


এতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত বেগমগঞ্জের শহীদ ইফাত হোসেন, নিজাম উদ্দিন ইমন, বেলাল হোসেন রাফি, ডা. রুবেল, আবদুল কাইয়ুম আহাদ, আবদুল মোতালেব মুন্না, মো. সজীব ও আসিফ হোসেনসহ বিভিন্ন সময় পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র ও যুবদলের খুরশিদ আলম, মহীন ও রুবেলের পরিবারকে আর্থিক অনুদান, খাদ্য ও ঈদ সামগ্রী দেয়া হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন