বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আহত ও শহীদদের স্মরণ সভায় এ অনুদানের চেক দেয়া হয়। এছাড়া পঙ্গুত্ববরণকারী তিনজনকে একটি করে হুইল চেয়ার দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভার শুরুতেই সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে নিহতের স্বজন ও আহতরা গণঅভ্যুত্থানের বিভীষিকাময় ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন।
আরও পড়ুন: আমাদের লাশের ওপর এক ইঞ্চি বাংলাদেশও দেয়া হবে না: হাসনাত
স্মরণসভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মুশিউর রহমান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা, র্যাব-১১ ব্যাটেলিয়ানের সহকারী পরিচালক মো. শামসুর রহমান, জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রমুখ।
স্মরণসভা ও চেক বিতরণ শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
স্মরণ সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, ‘এখনও যারা জেলা প্রশাসনের করা আহত ও শহীদদের তালিকায় স্থান পাননি, তাদের পরিবার যোগাযোগ করলে সরকারি তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আমরা তাদেরকেও জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের ফান্ড থেকে সাধ্যমতো অনুদান দেয়ার চেষ্টা করব। এছাড়া রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষিত অনুদান বিভিন্ন জেলায় দেয়া হলেও নারায়ণগঞ্জ জেলায় এখনও বরাদ্দ দেয়া হয় নি। রাষ্ট্রীয়ভাবে সেই বরাদ্দ এলে তা তালিকাভুক্তদের মধ্যে যথানিয়মে বিতরণ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।’
আরও পড়ুন: ইসকনকে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না: হান্নান মাসুদ
জেলা পরিষদ থেকে এই আর্থিক অনুদান পেয়ে ভুক্তভোগিদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে। তবে আহতদের স্থায়ী চিকিৎসার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা কামনা করছেন তাররা