শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) নগরের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্কে জুলাই প্রবাহ নামে এক সামাজিক সংগঠন এ আয়োজন করে।
আন্দোলনের গ্রাফিতি, সহিংসতায় ঘটনাপ্রবাহের ৮১টি ছবি নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলের একপাশে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া দিনব্যাপী চলে জুলাই অভ্যুত্থান পর্যালোচনা, আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য, নাটক ও পুরস্কার বিতরণ।
এতে নগরের রাজনৈতিক, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকর্মী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মানুষ যোগ দেন। বিকেলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পর্যালোচনায় জুলাই প্রবাহের বক্তব্য রাখেন বিশিষ্টজনরা।
আরও পড়ুন: সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তরুণ সমাজকে সব সময় সোচ্চার থাকতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা যেন কেউ ভুলে না যায়। প্রত্যেককে স্বাধীনভাবে তার সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। সেটি যদি না হয় তা হলে মনে রাখতে হবে, জুলাই এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কিন্তু আমরা ভুলিনি। যদি আবারও তেমনটা হয় তাহলে আইনজীবী তার পেশা ছেড়ে, রিকশাচালক তার পেশা ছেড়ে রাস্তায় নামবে। সেটা যেন না করতে হয় সে দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের, যারা দেশ চালাচ্ছেন তাদের। আমার বিশ্বাস তারা সে দায়িত্ব পালন করবেন এবং আমরা চোখ রাখবো। প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবো।’
জুলাই প্রবাহের উপদেষ্টা আরিফুল হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক পারভীন জলী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী শেখ ফরিদ ও জুলাই প্রবাহের উপদেষ্টা অজিত দাস। আলোচনা শেষে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে দ্রোহের গান।
]]>