খেজুরের বাজার স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক-কর কমানোর সুপারিশ

২ সপ্তাহ আগে
সরবরাহ ও চাহিদার কথা মাথায় রেখে খেজুরের আমদানির ওপর শুল্ককর কমানোর সুপারিশ করেছে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। তবে শুল্ক সুবিধা দিলেই হবে না, ভোক্তার স্বার্থে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার তাগিদ অর্থনীতিবিদের।

বছরজুড়েই দরকারি খেঁজুরের চাহিদা বাড়ে রমজানে। আর সেই বাড়তি জোগান নিশ্চিতে মাস তিনেক আগে থেকেই শুরু হয় আমদানিকারকদের তোড়জোড়। বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট অ্যাসোসিয়েশন ও ইম্পোর্টার্সের তথ্য, রমজানে দেশে চাহিদা থাকে প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন খেজুরের।

 

তবে এবার পণ্যের জোগান নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ, একদিকে যেমন রয়েছে উচ্চ শুল্ক-কর, অন্যদিকে রয়েছে সময়মতো ঋণপত্র খোলার চাপ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানে খেজুরের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সেই চাহিদা পূরণে আমদানি বাড়াতে হবে। তবে কমাতে হবে আমদানি শুল্ক। না হলে রমজানে খেজুরের দামে অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে।

 

আরও পড়ুন: রমজানের পণ্য আমদানি: এলসি খোলা নিয়ে যে বার্তা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

 

এ পরিস্থিতিতে ভোক্তা-বাজার বিবেচনায় খেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর সুপারিশ করেছে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। মোট ৫৭ দশমিক ২ শতাংশ শুল্ক-করের মধ্যে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে ১৫, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার ও উৎসে কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।

 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রমজানকে ঘিরে খেজুর নিয়ে যেন কোনো সিন্ডিকেট গড়ে উঠতে না পারে এজন্য এখন থেকেই কাজ করতে কাজ করতে হবে প্রশাসনকে। অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, রমজানের আগে খেজুর নিয়ে যে সিন্ডিকেট তৈরি হয়, সেটি ভাঙা খুব জরুরি। তবে এবার রমজানের আগে নির্বাচন রয়েছে, তাই সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে সিন্ডিকেট বড় রকমের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে এখনই পরিকল্পনা সাজাতে হবে।

 

শুধু খেজুর নয়, অন্য ফলমূলের বাজারও যেন আসছে রমজানে স্বাভাবিক থাকে সেই পরিকল্পনা সাজানোর তাগিদ বিশ্লেষকদের।

 

এদিকে, গত ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও রমজানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে এলসি খোলায় কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না। মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, ব্যাংকে পর্যাপ্ত ডলার রয়েছে। ফলে এলসি খোলায় কোনো সংকট তৈরি হবে না। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে বাজার স্বাভাবিক রাখাও অন্যতম লক্ষ্য। রমজানের ভোগ্যপণ্য অর্থাৎ চাল, গম, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর আমদানিতে ঋণপত্র ইস্যুতে ন্যূনতম মার্জিন ব্যাংকগুলো ঠিক করবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন