রোববার (১৭ আগস্ট) আসামী ছিনিয়ে নেয়ার মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে শনিবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন জানান, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতপরিচয়ে ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় একটি চাঁদাবাজি মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য মাঝিরগাতীতে অভিযান চালিয়ে কাঁচা বাজার এলাকা থেকে তৈয়ব মুন্সি (২৬) নামের এক আসামিকে আটক করা হয়। তবে গ্রেফতারের পরপরই গাজীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহাগ মুন্সির নেতৃত্বে স্থানীয়রা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: পাটগ্রামে থানায় ভাঙচুর ও আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ৪
এ সময় মাঝিরগাতী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল-মাসুদ (৪৫), এসআই আহম্মদ আলী (৩৫) ও কনস্টেবল ইব্রাহিম (৩৫) আহত হন। তাদের দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পরপরই ওসি এইচ এম শাহীনের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি দল রাতে অভিযান চালায়। এতে মো. ওসমান শেখের ছেলে জামিরুল ইসলাম (৩৪), সৈয়দ আ. রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল করিম এবং মৃত রতন শেখের ছেলে লিটন শিকদারকে (৩৫) আটক করা হয়।