বান্দরবানে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

২ ঘন্টা আগে
বান্দরবানের রুমায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২০ আগস্ট) ভোরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন: একই এলাকার ক্যসাইওয়ং মার্মা, ক্যহ্লাওয়াং মার্মা ও উহাইসিং মার্মা।


জানা গেছে বান্দরবানের রুমার পাইন্দু ইউনিয়নের পাইন্দু হেডম্যানপাড়ায় চলতি মাসে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পাইন্দু হেডম্যান পাড়ার রাংমেশে মার্মার ছেলে শৈহাইনু মার্মা।


বিষয়টি তার মাধ্যমে তার বন্ধু ক্যাহ্লাওয়াইং, ক্যহ্লাওয়াং সাই, উহাইসিং ও ক্য সাই ওয়ং জানতে পারেন। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভয় দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে ওই ছাত্রীকে সুযোগ বুঝে একে একে সব বন্ধুরা ধর্ষণ করেন।


আরও পড়ুন: স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৬


পরে ভুক্তভোগী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এতে সবার মধ্যে এই ঘটনা জানাজানি হলে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে পাড়াপ্রধান (কারবারি) থোয়াইসা মারমার বাসায় ধর্ষণ সংক্রান্ত সামাজিক সালিশি বিচার করা হয়। বিচারে ৫ ধর্ষককে ১০ হাজার টাকা করে ৫ জনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আসামিদের ছেড়ে দেয়া হয়।


বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।


আরও পড়ুন: প্রেমের সম্পর্ক গড়ে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩


এ বিষয়ে বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক বিচারে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আসামিদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। এরপর আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’


উল্লেখ্য, সামাজিক সালিশি বিচারে নেতৃত্ব দেন, পাইন্দু ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও পাইন্দু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গংবাসে মার্মা ও পাইন্দু মৌজার হেডম্যান মংচউ মার্মাগং। এতে সভাপতিত্ব করেন পাইন্দুপাড়া প্রধান কারবারি থোয়াইসা মারমা।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন