আটকরা হলেন, কাজী রায়হান ইসলাম ও হাসিব মোল্লা। এর মধ্যে কাজী রায়হানকে তালা মহিলা কলেজের পাশের একটি ভাড়া বাসা থেকে এবং হাসিব মোল্লাকে একই উপজেলার অন্য একটি স্থান থেকে আটক করে পুলিশ।
খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার খোন্দকার হোসেন আহম্মদ বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় রায়হানকে অবস্থান শনাক্ত করে বৃহস্পতিবার সকালে তালার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তিনি মাহবুব হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকতে পারে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছাতে ষড়যন্ত্র চলছে, অভিযোগ যুবদলের
অন্যদিকে, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম সাতক্ষীরার তালা থেকে আরেক সন্দেহভাজন হাসিব মোল্লাকে আটক করে।
এর আগে এই মামলায় তথ্য সরবরাহের অভিযোগে মো. সজল ও আলাউদ্দিন নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। সজলকে রিমান্ডে নেয়া হলেও নির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে দুজনই কারাগারে রয়েছেন।
গত ১১ জুলাই দুপুরে খুলনার দৌলতপুরে নিজ বাসার সামনে প্রাইভেটকার পরিষ্কার করছিলেন বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান মোল্লা। হঠাৎ তিন যুবক মোটরসাইকেলে এসে তাকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি ছোঁড়ে। মাথা ও মুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাহবুব ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারীরা তার দুই পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: ২২ বছর পর যুবদল নেতার কারামুক্তি, ফুলেল শুভেচ্ছায় উচ্ছ্বাস
পরদিন মাহবুবের বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।