বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খিলগাঁও পশ্চিম নবীনবাগের এক বাসায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত রুমি ও তার ভাই বাবুলকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় রুমিকে মৃত ঘোষণা করেন।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাই তার ছোট বোনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিপণ নিতে এসে গ্রেফতার, ব্যবসায়ীকে উদ্ধার
রুমি কুমিল্লার বরুরা থানার আবুল হাসেমের মেয়ে। পরিবারটি নবীনবাগের ওই বাসায় থাকেন। স্বজনরা জানান, তিন ছেলের জননী রুমি। দুই-তিন বছর আগে তার স্বামী জহির অন্য একটি বিয়ে করে তাদের ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে তিন ছেলেকে নিয়ে রুমি নবীনবাগে বাবার বাসায় থাকতেন। অন্যের বাসায় কাজ করতেন রুমি।
ঘাতক সালামের স্ত্রী জুলেখা আক্তার জানান, তার স্বামী সালাম আগে অটোরিকশা চালালেও বর্তমানে বেকার। কোনো কাজই করেন না তিনি। এছাড়া নিয়মিত মাদকসেবন করেন। এ নিয়েই প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। দুই সপ্তাহ আগে এসব বিষয় নিয়ে সালাম স্ত্রী জুলেখাকে প্রচণ্ড মারধর করেন। তখন পরিবার সালিশে বিষয়টি মীমাংসা করে এবং সালাম আর নেশা করবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেন।
তিনি জানান, এরপরও তিনি কোনো কাজ করেন না। দুইদিন ধরে তাদের বাসায় কোনো বাজার নেই। এ নিয়ে বুধবার বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয় এবং ছেলে-মেয়েকে নিয়ে জুলেখা বাবার বাড়িতে চলে যাবেন বলে জানান। তখন সালাম ক্ষিপ্ত হয়ে ঝগড়া শুরু করেন। বড় ভাই বাবুলকে বলেন তার স্ত্রীকে আটকাতে। তখন বড় ভাই বাবুলও তার বিরোধিতা করেন এবং বলেন, নেশা করা না ছাড়লে স্ত্রী তো চলে যাবেই।
বড় ভাইয়ের এমন কথা শুনে সালাম ঘর থেকে ধারালো ছুরি এনে বড় ভাই বাবুলকে আঘাত করেন। এটি দেখে ফেরাতে যান ছোট বোন রুমি। তখন রুমির পিঠেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন সালাম।
আরও পড়ুন: আড়াইহাজারে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাউদ হোসেন বলেন, ‘এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাবুল আহত হয়েছেন। ঘাতক নিহতের ভাই আব্দুস সালামকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
]]>