সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম আগের চেয়ে একটু ভালো আছেন। কেবিনে চিকিৎসাধীন। আমি সার্বক্ষণিক ওনার সঙ্গে হাসপাতালে থাকছি।’
এর আগে রোববার রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হয়। বোর্ডের আরেক সদস্য সোমবার সন্ধ্যায় জানান, খালেদা জিয়ার নিউমোনিয়া হয়েছে।
ওই চিকিৎসক বলেন, ‘নিউমোনিয়া ছাড়াও মাল্টি ডিজিস জটিলতা কিছুটা বেড়েছে। বয়সের কারণে চাইলেও সব চিকিৎসা একসঙ্গে নেয়া যাচ্ছে না, ঝুঁকি থেকে যায়।’
তিনি আরও জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট ভালো-খারাপ দুটোই আছে এবং বিএনপির চেয়ারপারসনকে সব মিলিয়ে সপ্তাহ খানেক হাসপাতালে থাকতে হবে।
জানা গেছে, শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে থেকেই তিনি ঠান্ডা ও কাশিতে ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া
মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী জানান, খালেদা জিয়াকে ‘খুব ইনটেনসিভভাবে মনিটরিংয়ের’ মধ্যে রাখা হয়েছে।
ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, দ্রুত পরীক্ষা শেষে প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী বোর্ড বসে তাকে প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিকসহ জরুরি চিকিৎসা দিয়েছে।
বোর্ডের আরেক সদস্যের ভাষ্যমতে, চলমান চিকিৎসায় জটিলতা না কাটলে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি না হলে বিএনপির চেয়ারপারসনকে শিগগিরই করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) বা হৃদ্যন্ত্রের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

২ দিন আগে
১






Bengali (BD) ·
English (US) ·