বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান প্রধান বিচারপতি।
এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগে এক শুনানিতে আপিল বিভাগে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, বিগত দিনে রাষ্ট্রের দুর্বৃত্তায়ন ও বিচার বিভাগের সীমাহীন অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছেন খালেদা জিয়া। তাকে প্রতীকী ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন,
আদালতের দায়িত্ব ছিল তাকে প্রতীকী ক্ষতিপূরণ দেয়া। একটা রাষ্ট্রে একজন নাগরিককে নিগৃহীত করা হয়েছে, রাষ্ট্রের দুর্বৃত্তায়নের শিকার হয়েছেন খালেদা জিয়া। বিচার বিভাগের সীমাহীন অন্যায়ের শিকার হয়েছেন তিনি। তাকে যদি একটি প্রতীকী ক্ষতিপূরণ দেয়া হতো, অথবা ভবিষ্যতে দেয়া হয় তাহলে বাংলাদেশে ভবিষ্যতের জন্য অনেক ভালো হবে।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন,
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পার্লামেন্ট ছিল রাবার স্ট্যাম্প। ঠিক আদালতকেও ডিক্টেট করে বেগম জিয়াকে যেন রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা যায় এবং বিএনপির নামে যেন কালিমালেপন করা যায়, তার জন্যই শেখ হাসিনা আদালত এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যবহার করতেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় দুর্বৃত্তায়নের শিকার হয়েছেন: আইনজীবী
প্রসঙ্গত, সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একইদিনে নাইকো মামলা হয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। দুই নেত্রীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তি করে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করা। একইদিন মামলা হলেও ক্ষমতায় থাকাকালে হাইকোর্টে বাতিল হয় শেখ হাসিনার মামলা। অথচ ১৭ বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হয় বেগম জিয়াকে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নাইকো মামলায় খালাসের মধ্য দিয়ে দুর্নীতির পাঁচ মামলা থেকে আইনি লড়াইয়ে মুক্ত হলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অন্যদিকে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে হাইকোর্টে বাতিল হয় শেখ হাসিনার মামলাটি। সে সময় হাইকোর্ট রায়ে বলেন, শেখ হাসিনাকে হয়রানি করতে মামলাটি করা হয়েছিল।
]]>