শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভা তিনি এই মন্তব্য করেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘৫২-এর ভাষা শহীদদের পরিবারকে পরিপূর্ণ সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্র। এসব শহীদদের নিয়ে রাজনীতি করা হলেও তাদের পরিবারকে মূল্যায়ন করা হয়নি। বিগত দিনে যারা ক্ষমতায় ছিল এ দায় তাদের।
তিনি আরও বলেন, ‘একাত্তরে যারা শহীদ হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চ এই জাতি মোটামুটি তাদের স্মরণ করে। কতটা মর্যাদা দিতে পারে, তা আলোচনার বিষয়। অনুরূপভাবে যারা ভাষা আন্দোলনের জন্য জীবন দিয়েছেন অন্তত একুশে ফেব্রুয়ারি সেই দিনটির কথা স্মরণ করুন, তাদের পরিবারকে বুকে টানুন আর সম্মান জানান। তাহলে তারা কিছুটা হলেও প্রশান্তি পাবেন। আর বর্তমান প্রজন্ম এখান থেকে শিক্ষা নেবে।’
আফসোস করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা ইতিহাসের নায়কদের সম্মান দিতে জানি না। উল্টো ইতিহাস বিকৃত করি। কিন্তু ইতিহাস নির্মম, কাউকে ছাড় দেয় না। তবে বিকৃতকারীরা সবসময়ই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে পড়ে গিয়েছে৷’
আরও পড়ুন: ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিদায়েও প্রেরণা যুগিয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারি: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার সাড়ে ১৫ বছর জাতিকে বড় জ্বালাতন করেছে অভিযোগ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘ইতিহাসকে কেটে টুকরো টুকরো করেছে দলটি। সব জায়গায় অন্যায্যভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিল। প্রত্যেক জাতির যুবসমাজ সাধারণত অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে থাকে। আমাদের যুবকরাও সেই গৌরব ধারণ করে চলেছে।’
জোর করে যে ইতিহাস তৈরি করা হয়, তা প্রচণ্ড চাপে বিলুপ্ত হয়ে যায় উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এটি কারো জন্য সুখকর নয়। বরং ইতিহাসে যার যেখানে জায়গা, তাকে অবশ্যই সেখানে দিতে হবে। যদি ভালো লাগার মানুষকে ইতিহাসের সামনে নিয়ে আসেন, আর ভালো না লাগার মানুষকে যদি ফেলে দেন সেটা ইতিহাস নয় হবে গল্প। তাই ইতিহাসের নামে আমর কোনো গল্প দেখতে চাই না।’
ভাষা আন্দোলনে তমুদ্দিন মজলিশ, অধ্যাপক গোলাম আযমসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবদান সরকারিভাবে সামনে আনার উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান জামায়াত আমির।
এর আগে দেশব্যাপী সপ্তাহব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায় তখন সব অপশক্তি পরাজয় বরণ করে নিতে বাধ্য হয়। এর উদাহরণ ৫২-এর ভাষা আন্দোলন ও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান।’
]]>