খরায় ঝরছে আমের গুটি, বাগান মালিকরা চিন্তিত

১ সপ্তাহে আগে
দেশের মধ্যে আম উৎপাদনে শীর্ষে নওগাঁ, দ্বিতীয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও তৃতীয় অবস্থানে রাজশাহী জেলা। বিভাগের সবকটি জেলাতে এবার প্রচুর পরিমাণ মুকুল এলেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খরায় আমের গুটি ঝরে পাড়ায় চিন্তিত বাগান মালিকরা।

 এ অবস্থায় বাম্পার ফলনের আশা ফিকে হতে বসেছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে বাগানে নিয়মিত সেচ দেয়ার পরামর্শ ফল গবেষকদের। চেম্বার অব কমার্সের ব্যবসায় নেতারা জানান, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমের বেচাকেনা এবার ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে।


নওগাঁ জেলায় সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর, পত্নীতলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে বারি, আম্রপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া ও ফজলি জাতের আমের বাগান। মাসখানেক আগেও সোনারাঙ্গা মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছিল বাগানগুলো। বর্তমানে বাগানগুলোতে থোকায় থোকায় ঝোলা গুটি আম মাসখানেকের মধ্যেই পরিপক্ক হবে।

আরও পড়ুন: মুকুলে মুকুলে ভরে উঠেছে মৌলভীবাজারের পাহাড়-টিলার আম বাগান

একই অবস্থা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার আম বাগানগুলোর। বাগান পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মালিকরা। তবে খরার কারণে কিছু আমের গুটি ঝড়ে পরায় আশানুরূপ ফলন নিয়ে চিন্তিত তারা। এ অবস্থায় বাণিজ্যিক দিক বিবেচনায় আম প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন পন্য উৎপাদন ও বিদেশে রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজতর করার দাবি আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকদের।


এদিকে, বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বিভাগে এই মৌসুমে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি আম বেচাকেনা হবে বলে জানান চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু।

আরও পড়ুন: রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে এসএসসিতে কমেছে ১৯ হাজার পরীক্ষার্থী

এ অবস্থায় বাগানে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিলে কীটনাশক প্রয়োগের পাশাপাশি আম ঝরে পড়া রোধে নিয়মিত সেচ দেয়ার পরামর্শ ফল গবেষণা‌ কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুল ইসলাম।


চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ৩০ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমির বাগানে ৪ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন ও রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমির বাগানে ২ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন