মাঠের পর মাঠ চাষ করা হয়েছে সয়াবিন। দেশের উৎপাদিত সয়াবিনের প্রায় ৭৫ ভাগ সয়াবিন উৎপাদন হয় লক্ষ্মীপুর জেলায়। লক্ষ্মীপুর জেলায় এবার এই তেল ফসল আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৪২ হাজার হেক্টর জমিতে ধরা হলেও হয়েছে ৪৩ হাজার ৬৬০ হেক্টরে। যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর বেশি।
উৎপাদন খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন সয়াবিন চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। তারা বলছেন, এবার সয়াবিনের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সয়াবিন চাষে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচে ৪০-৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, চাষিরা আগে স্থানীয় সোহাগ জাতের সয়াবিন বীজ বপন করতেন। এবার সরবরাহ করা হয়েছে উচ্চফলনশীল জাতের বীণা সয়াবিন ৫ ও ৬ এবং বিইউ জাতের সয়াবিন বীজ।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে কমেছে সয়াবিন-ক্যানোলা তেলের দাম, ঊর্ধ্বমুখী পাম ও সূর্যমুখী
লক্ষ্মীপুর কমলনগরের চর কালকিনি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুপ চন্দ্র দেব নাথ বলেন, ফলন তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় দিন দিন কৃষকরা সয়াবিন চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
অনুকূল আবহাওয়া ও চাষাবাদে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারে এবার আবাদি জমি বৃদ্ধির সঙ্গে উৎপাদনও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে বলে আশা কৃষি বিভাগের। লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, পরিবেশ অনুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। যাতে লাভবান হতে পারবেন কৃষকরা।
এ অঞ্চলে সয়াবিন ভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তোলা গেলে চাষীরা যেমন লাভবান হতেন, তেমনি সয়াবিন চাষাবাদে বিপ্লব ঘটত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর চলতি মৌসুমে জেলায় সয়াবিনের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৭ হাজার মেট্রিক টন, যা গত বছরের চেয়ে ৯ হাজার মেট্রিক টন বেশি।
]]>