গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের এমব্রেয়ার ১৯০ নামের একটি বিমান কাজাখস্তানের আকতাউয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ক্রুসহ মোট ৭২ জন আরোহীর মধ্যে ৪০ জনের মৃত্যু হয়। ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
কাজাখস্তানের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ জন আজারবাইজানের, ৬ জন কাজাখস্তানের, ৩ জন কিরগিজস্তানের ও ১৬ জন রাশিয়ার নাগরিক ছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ৫ ক্রুসহ ৭২ জনের বেশি আরোহী নিয়ে আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রজনি শহরের উদ্দেশে যাত্রা করে বিমানটি।
ভারি কুয়াশার কারণে যাত্রাপথ পরিবর্তন করে বিমানটি। আকতাউ বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিধ্বস্তের আগে আকাশে বেশ কয়েকবার চক্কর দেয় বিমানটি। এ সময় জরুরি বার্তাও দেয় বিমানটি।
আরও পড়ুন: জাপান এয়ারলাইন্সে সাইবার হামলা, ফ্লাইট বিপর্যয়
এ ঘটনায় আজারবাইজান সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, বিমানটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে এবং এটা করেছে রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে এই তথ্য উঠে এসেছে।
খবরে আরও বলা হয়, আজারবাইজানের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বিমানটিতে রাশিয়ার পান্তসির-এস আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছিল। গজনিতে যখন বিমানটি প্রবেশ করে তখন জ্যামারের কারণে এটির যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থগিত হয়ে পড়েছিল।
রাসিম মুসাবেকভ নামে এক আজেরি আইনপ্রণেতা এই ঘটনার জন্য রাশিয়াকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মুসাবেকভ এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘তাদের এটা মানতেই হবে, দোষীদের শাস্তি দিতে হবে, প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে এমন ঘটনা আর ঘটবে না, অনুশোচনা প্রকাশ করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা অপেক্ষায় থাকলাম।’
আরও পড়ুন: কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, হতাহত কতজন?
এরপর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় রাশিয়া। এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘এ ঘটনায় একটা তদন্ত চলছে এবং যতক্ষণ না সেই তদন্ত থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসে, আমরা বিশ্বাস করি না যে আমাদের কোনো মন্তব্য করার অধিকার আছে এবং আমরা তা করব না।’