ক্রিকেট খেলতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন যারা

৪ সপ্তাহ আগে
২৫ নভেম্বর ২০১৪, সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। শন অ্যাবোটের বাউন্সারটি পুল করতে চেয়েছিলেন ফিলিপ হিউজ। ব্যাট মিস করে বলটি গিয়ে লাগে সাউথ অস্ট্রেলিয়া ব্যাটারের ঘাড়ে, ঠিক কানের পেছনের দিকটায়। সঙ্গে সঙ্গে হাঁটুতে ভর দিয়ে ঝুঁকে পড়েন বাঁহাতি ওপেনার, একটু পরই মাটিতে উপুর হয়ে পড়ে যান। বাকিরা দৌড়ে আসেন তার কাছে।

আড়াইকিলোমিটার দূরত্বের সেন্ট ভিনসেন্ট’স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হিউজকে, হয় অস্ত্রোপচার। দুই দিন কোমায় থেকে ২৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন অজি ক্রিকেটার। মর্মান্তিক ওই দিনের আজ ১০ বছর পূর্ণ হলো।


হিউজের মতো আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেট খেলতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।


ওয়াসিম রাজা

ওয়াসিম রাজা পাকিস্তানের আলোচিত-সমালোচিত ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজার ভাই। ২০০৬ সালের আগস্টে ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলার সময় বাঁহাতি ব্যাটারের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। ৫৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। দেশের হয়ে ৫৭টি টেস্ট ও ৫৪টি ওয়ানডে খেলেন তিনি।


আরও পড়ুন: ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করলেন তামিম ইকবাল


রিচার্ড বিমন্ট

হিউজ দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার দুই বছর আগে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে প্রাণ হারান রিচার্ড বিমন্ট। ৫ আগস্ট অ্যাস্টউডের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। একটু পরই স্ট্রোক করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তড়িগড়ি করে বিমন্টকে নিয়ে যাওয়া হয় বার্মিংহ্যামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে। কিন্তু পৌঁছার পর ডাক্তাররা বিমন্ট মৃত বলে ঘোষণা করেন।


রামান লাম্বা

১৯৯৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী ক্রীড়া চক্র ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অধিনায়ক খালেদ মাসুম কথায় লাম্বা সিলি পয়েন্টে ফিল্ডিংয়ে দাঁড়ান। মাথায় হেলমেট পরেননি তিনি। সাইফুল্লাহ খানের শর্ট ডেলিভারিতে সপাটে পুল করেন মেহরাব হোসেন। বল লাম্বার কপালে লেগে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে জমা পড়ে। মেহরাব হোসেন আউট হন। লাম্বা পড়ে গেলেও উঠে যান। পরে ড্রেসিংরুমের দিকে রওনা দেন। শরীর খারাপ লাগতে থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, দিল্লি থেকে উড়িয়ে আনা হয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। কিন্তু লাম্বা আর ফিরেননি, ৩ দিন পর মৃত্যুবরণ করেন।


আরও পড়ুন: আইপিএলে দল না পাওয়া ভারতীয়র দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড


ড্যারেন র‌্যান্ডাল

রিচার্ড বিমন্ট দুর্ঘটনার এক বছর পর দুর্ঘটনার শিকার হন ড্যারেন র‌্যান্ডাল। প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটারের ক্ষেত্রেও হিউজের মতো ঘটনা ঘটে। বাউন্সার পুল করতে গিয়ে ঘাড়ে আঘাত পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান তিনি।


ইয়ান ফোলে

২৮৭ প্রথম শ্রেণির উইকেটের মালিক ইয়ান ফোলে চোখের নিচে বলের আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৩ সালের গ্রীস্মে ওই ঘটনা ঘটে। যদিও তাৎক্ষণিক তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যু হয় ফোলের।


জুলফিকার ভাট্টি

২০১৩ সালে ২২ বছর বয়সি জুলফিকার একটি বাউন্সারে পুল করতে চেয়েছিলেন। বলটি গিয়ে লাগে তার বুকে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আলসিন জেঙ্কিস

২০০৯ সালে আম্পায়ারিং করার সময় ফিল্ডারের ছোঁড়া বল জেঙ্কিসের মাথায় লাগে। মারাত্বক আঘাত পাওয়ার পর আর সেরে উঠেননি তিনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন