ফাউলার গত সপ্তাহে এক্সে (টুইটার) পোস্ট করে জানান, কয়েক দিন আগে তার বাঁ চোখের ঠিক উপরে থাকা একটি দাগ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে। পরীক্ষায় নিশ্চিত হয় যে এটি ছিল ত্বকের ক্যান্সার, যা সফলভাবে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ফাউলার দুটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আগে ও পরে… অনেকেই আমাকে একই কথা বলছে—যে দাগ বা স্পটগুলো আছে সেগুলো পরীক্ষা করাও। বেসাল সেল কার্সিনোমা। ভাগ্য ভালো, খুব আগে ধরা পড়েছে, তাই সব ঠিক আছে… এখন শুধু একটা ক্লাব দরকার।’
অস্ত্রোপচারের পর ফাউলারের সুস্থতা কামনা করেছেন অনেকেই। সাবেক লিভারপুল তারকা লুইস গার্সিয়া লিখেছেন, ‘শিগগিরই সুস্থ হও, বন্ধু।’ সাবেক গোলকিপিং কোচ জন আচটারবার্গ বলেন, ‘ভালো হয়েছে সব ঠিক আছে, বন্ধু।’ সিবিএস রিপোর্টার ক্রিস্টিন কুপোও লেখেন, ‘দ্রুত সুস্থ হও! আগে শনাক্তকরণের দারুণ বার্তা।’
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে ফোন করেছেন রোনালদো
অনেক সমর্থকও ফাউলারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। লিভারপুলে খেলার সময় ফাউলারকে সমর্থকরা ‘গড’ বলে ডাকত, যদিও তিনি নিজে বড় হয়েছেন এভারটনের ভক্ত হিসেবে।
এনএইচএস বেসাল সেল কার্সিনোমাকে নন-মেলানোমা স্কিন ক্যান্সারের একটি ধরন হিসেবে বর্ণনা করে, যা ত্বকের উপরিভাগে শুরু হয়। সংস্থাটি জানায়, অতিবেগুনি রশ্মি—সূর্য কিংবা সানবেড থেকে আসা আলো—এই ক্যান্সারের প্রধান কারণ। এছাড়া বয়স, হালকা ত্বক এবং আগে স্কিন ক্যান্সার থাকার ইতিহাস ঝুঁকি বাড়ায়।
এনএইচএস আরও বলে, ‘সূর্যের আলোয় সাবধান থাকলে স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব—যেমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা এবং নিয়মিত পুনরায় লাগানো। আরেক ধরনের স্কিন ক্যান্সার আছে—মেলানোমা—যা তুলনামূলক কম দেখা যায়, কিন্তু সাধারণত বেশি গুরুতর।’
তাদের মতে, ‘এটি প্রথমে একটি খোসাযুক্ত দাগ হিসেবে দেখা দিতে পারে, যা রক্তপাত করে এবং পুরোপুরি সারতে চায় না। অথবা এটি নতুন কোনো গুটির মতোও হতে পারে। বেসাল সেল কার্সিনোমা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে এটি ত্বকে লাল, আঁশযুক্ত সমতল দাগের মতো দেখা যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে ছোট গুটি হয়, যার মাঝখানে খাঁজ থাকে এবং চারপাশে মুক্তার মতো রিং দেখা যায়, গুটির ওপর ছোট লাল রক্তনালিও দেখা যেতে পারে। নতুন কোনো দাগ বা ক্ষত হলে অবশ্যই চিকিৎসককে দেখানো উচিত।’
ফাউলারকে লিভারপুলের কিংবদন্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হয়, যদিও লিডস ছাড়ার পর তিনি ম্যানচেস্টার সিটির হয়েও খেলেছিলেন। ২০০৬ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আবার লিভারপুলে ফেরেন তিনি। এরপর ২০০৭ সালে তিনি কার্ডিফ ও ব্ল্যাকবার্নে খেলেন।
২০০৯ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় যোগ দেন নর্থ কুইন্সল্যান্ড ফিউরিতে, তারপর ২০১০ সালে পার্থ গ্লোরিতে। থাইল্যান্ডের মুয়াংথং ইউনাইটেডের হয়ে ২০১২ সালে খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করেন, যেখানে ২০১১ সালে তিনি প্লেয়ার-ম্যানেজারের দায়িত্বও সামলেছিলেন।
আরও পড়ুন: সান্তোসের অবনমন ঠেকিয়ে অস্ত্রোপচারের টেবিলে যাচ্ছেন নেইমার
ফাউলার পরে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন রোরের কোচের দায়িত্ব নেন (২০১৯–২০), পরে হন ইস্ট বেঙ্গলের কোচ। ২০২৩ সালে তিনি সৌদি ক্লাব আল-কাদসিয়ার দায়িত্ব নিলেও মাত্র চার মাস পর তাকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং স্প্যানিশ কোচ মিশেল দায়িত্ব নেন।
প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড একসময় ছিল ফাউলারের দখলে। ১৯৯৪ সালে আর্সেনালের বিপক্ষে মাত্র চার মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে তিন গোল করেন তিনি। এই রেকর্ডটি টিকে ছিল ২০ বছরের বেশি, ২০১৫ সালে সাদিও মানে সাউদাম্পটনের হয়ে ২ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে হ্যাটট্রিক করে এটি ভাঙেন। পরে মানে ২০১৬ সালে লিভারপুলে যোগ দেন।

২ দিন আগে
১





Bengali (BD) ·
English (US) ·