রোববার (৪ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা দেখছি মানুষ কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এরফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সমাজের হতদরিদ্র মানুষেরা।
পশুর চামড়ার দাম নিয়ন্ত্রণে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে কোনো সিন্ডিকেটের কারণে মানুষ কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত না হন।
তিনি বলেন, কোরবানির পশু পরিবহন ও হাটে বিক্রির সময় যাতে পশুর প্রতি কোনো নির্দয় আচরণ করা না হয় সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন: পরমাণু শক্তি কমিশন /প্রধান উপদেষ্টার কাছে ১১ দাবি বিজ্ঞানী-কর্মচারীদের
এসময় তিনি বলেন,
চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে ইটিপির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এই কমিটিতে আরও থাকবেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী অথবা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, বিডা ও বেজা চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রেস সচিব শফিকুল আলম, শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি।
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
]]>