১৫ এপ্রিল ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে রাত ৯টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন হিরো আলমের পালক পিতা আবদুর রাজ্জাক। এরপরই স্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তাকে বয়কটের ঘোষণা দেন হিরো আলম। তালাক দেয়ার কথাও জানান।
এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে হিরো আলম বলেন, আমার বাবা যখন মৃত্যুশয্যায় তখন পাশে ছিল না রিয়ামনি। বরং ফেসবুকে এবং একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে আমার নামে ভুল তথ্য ও মিথ্যা অভিযোগ দেয় সে। আমাকে মানসিক রোগী বলেও দাবি করেছে রিয়ামনি।
হিরো আলম আরও বলেন,
ওর সম্পর্কে কিছু বলতে চাইনি। তবে কিছু মিথ্যা মন্তব্য শুনে আমি চুপ থাকতে পারলাম না। বাবা মারা গেলে তার জানাজা নিয়ে আমি ব্যস্ত ছিলাম। এ সময় একটাবারও স্ত্রী ও তার পরিবার আমার বাবাকে দেখতে আসেনি। আসলে তাদের হিরো আলমকে দরকার, তার পরিবারকে না। এমন স্ত্রী আমার দরকার নেই।
এরপরই তিনি বলেন, ফেসবুকে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে সে (রিয়ামনি)। বলেছে, আমার মৃত্যু পথযাত্রী বাবার পাশে ছিল। এ কথা সত্য নয়। কারণ ওর ফেসবুকে গেলেই বুঝবেন, বাবার অসুস্থতার সময় অর্থ্যাৎ আইসিইউতে থাকার সময় রিয়ামনি অন্য ছেলের সঙ্গে নেচে গেয়ে নতুন ভিডিও তৈরি করেছে। ফেসবুকে সে নতুন ভিডিও আপলোডের তারিখ দেখলেই সব পরিষ্কার বুঝবেন সবাই।
একটু ক্ষোভ প্রকাশ করে এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন,
বাবার মৃত্যুর দিনও সে ফেসবুকে নাচ, গানের ভিডিও আপলোড করেছে। আমাকে মিথ্যা প্রমাণ করতে মানসিক রোগী দাবি করেছে। আমি অনেক বার ওকে ক্ষমা করেছি, আর নয়। আমার সঙ্গে কোনো কলহ তৈরি হলেই অন্য ছেলের সঙ্গে গান করে ভিডিও তৈরি করে। মদ খায়, বারে যায়। অথচ ওর দাবি, বার কী চিনেই না।
আরও পড়ুন: মৃত্যুশয্যায় ‘বাবা’র পাশে না থাকায় স্ত্রীকে বয়কট করলেন হিরো আলম
অতীত স্মৃতি কাতর হয়ে হিরো আলম বলেন, আমাকে ছেড়ে অন্যকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে আমার প্রথম স্ত্রী সুমি। গ্রামবাসী এ ঘটনার পুরো বিষয়টিই জানে। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। ওই ঘটনার পর আমার সাথে পরিচয় হয় রিয়ামনির। ওর সঙ্গে একটি বারেই আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। প্রতিটি বারের লিস্টে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন রিয়ামনি, মায়ামনি সেখানে নাচ, গান করেন। মায়ামনি এখনও বারে নাচ, গান করে। সেখান থেকে ভালো পথের দিশা দিতে রিয়ামনিকে বিয়ে করি। এ সব কথাই পবিত্র কোরআনে হাত দিয়ে আমি বলতে পারি। আমি এও বলতে পারি, আমার জীবনে কোনো অন্য নারী নেই, অন্য কারো সাথে আমার সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: আরাফাতকে খুঁজছেন হামলার শিকার হিরো আলম!
সবশেষে তিনি বলেন, দাম্পত্য কলহ হলে প্রায়ই পবিত্র কোরআন ছুঁয়ে শপথ করে রিয়ামনি। কিন্তু কখনও সে শপথ রাখতে পারেনি। যে পবিত্র কোরআনকে অবমাননা করে কথা বলতে পারে সে আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করতেই পারে। আমি তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছি বলতেই পারে। এসব মেয়ের কারণে আজ আমাদের বাবা, মায়েরা বৃদ্ধাশ্রমে যায়। আমার কাছে সব প্রমাণ আছে। খুব শিগগিরই তা ফাঁস করব। রিয়ামনি যদি আমার কোনো কথা ভুল প্রমাণ করে তার কথা সত্যি প্রমাণ করতে পারে তবে আমি সবার সামনে জুতার মালা গলায় পরে ঘুরে বেড়াব।
]]>