ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সাফল্যের কারণে এবার জাতীয় দলের নিয়মিত টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন লিটন। আজ (৪ মে) সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি এবং পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করতে গিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বিসিবি। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে টাইগারদের নেতৃত্ব সামলাবেন তিনি।
নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ঘোষণার দিনে ওয়ানডে ও টেস্টের অধিনায়কত্ব নিয়েও বার্তা দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। খুব শীঘ্রই ওয়ানডে এবং টেস্ট অধিনায়কের নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই বাংলাদেশ দলের সব ফরম্যাটের অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে বিসিবির হস্তক্ষেপে শেষমেশ টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়লেও ওয়ানডে এবং টেস্টে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে সম্মত হন তিনি। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও অধিনায়ক ছিলেন এই ব্যাটারই। তবে এবার কি তাকে বদলাতে যাচ্ছে বিসিবি?
আরও পড়ুন: কখনো নেতৃত্বে না থাকা মেহেদী কেন সহ-অধিনায়ক, ব্যাখ্যা দিল বিসিবি
টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণার দিনে এ প্রসঙ্গে নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, 'আমরা হয়তো খুব দ্রুতই ৫০ ওভার এবং টেস্ট অধিনায়কের নামটা ঘোষণা করব। কারণ আমার মনে হয় এটা খুব জরুরি যাতে শূন্যস্থান না থাকে। আমরা টেস্ট সিরিজ খেলব দুই থেকে আড়াই মাস পর। সিরিজের এক সপ্তাহ আগে জানলেও হয়। তবে আমার মনে হয় অধিনায়কের যে দায়িত্ব থাকে দল তৈরি করার, সেটা শুধু ম্যাচের সময়ই না, পুরোটা সময় জুড়েই থাকে। আমরা যত বেশি সময় দিব, তত বেশি অধিনায়কের জন্য ভালো হবে।'
বিসিবির অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যানের এই বক্তব্যে অনেকটা স্পষ্ট যে নতুন কোনো ওয়ানডে এবং টেস্ট অধিনায়ক পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে নতুন করে মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে এই দুই ফরম্যাটের অধিনায়ক করা হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর সাকিব আল হাসান অধিনায়কত্ব ছাড়লে তিন ফরম্যাটের জন্যই শান্তকে অধিনায়ক করা হয়। ১ বছর মেয়াদে তাকে অধিনায়ক করা হলেও এখন পর্যন্ত টেস্ট এবং ওয়ানডের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। শান্তর নেতৃত্বে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং চলতি বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেছে বাংলাদেশ।