কোটি টাকার ফোয়ারাগুলো এখন ময়লার ভাগাড়

৩ দিন আগে
নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে কোটি টাকা ব্যয় নির্মিত ফোয়ারাগুলো এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খোয়া গেছে মোটর ও যন্ত্রপাতি। দেখে বুঝার উপায় নেই এগুলো ফোয়ারা না ঝোপ-ঝাড়।

রোববার (২৩ নভেম্বর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অযত্নে অবহেলায় নগরীর ছয়টি ফোয়ারার এমন দৈন্যদশা দেখা দিয়েছে। সৌন্দর্যের প্রতীক এসব ফোয়ারায় জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নগর কর্তৃপক্ষ বলছে বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে, ট্রাফিক বিভাগ থেকে স্থাপনা সরানোর জন্য বলা হয়েছে, শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।


নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে ২০০৬ সালে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে হুমায়ূন রশীদ চত্বর, কুমারপাড়া, শাহী ঈদগাহ, নাইওরপুল, বন্দরবাজার ও ক্বিনব্রিজ এলাকায় স্থাপন করা হয় দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা। কিন্তু বর্তমানে একে দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো ফোয়ারা, না ময়লার ভাগাড়।


হুমায়ূন রশীদ চত্বরে পাঁচটি ফোয়ারার মধ্যে কোনোটি সচল নেই।ভেঙে পড়েছে বেষ্টনী, চুরি হয়ে গেছে মোটর ও স্প্রিংকল যন্ত্রপাতি। একই দশা কুমারপাড়া ও শাহী ঈদগাহ এলাকার ফোয়ারাগুলোরও। ফোয়ারাগুলোর চারপাশে জমে থাকা আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, জন্মেছে কচুরিপানা। ফোয়ারার সাইডের গার্ড ওয়াল এবং স্টিলের রেলিং চুরি হয়ে গেছে, এখন সেখানে আড্ডা ও ময়লা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে এসব নান্দনিক ফোয়ারাগুলো।


সিসিক বলছে ২০০৬ সালে জেলা পরিষদ নির্মাণ করে চারটি ফোয়ারা, আর সিটি করপোরেশন নির্মাণ করে আরও তিনটি। পরবর্তীতে জেলা পরিষদের ফোয়ারাগুলোও সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে। এদিকে নগরবাসীর অভিযোগ, সিটি কর্পোরেশন দায়িত্ব নিলেও ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি নান্দনিক ফোয়ারাগুলোর।


এদিকে ফোয়ারাগুলো দীর্ঘ এক যুগের ও বেশী সময় ধরে অচল হওয়াতে পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে সংকুচিত হয়েছে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনাও।ফেয়ারার যন্ত্রাংশ চুরি, অযত্ন আর অবহেলার কারণে হারিয়ে গেছে নগরের নান্দনিকতা এমন প্রশ্নে,জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার সিংহ সময় সংবাদকে জানান, সিটি করপোরেশন জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করলে জনস্বার্থে এবং নান্দনিকতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে প্রস্তুত তার দফতর।


আরও পড়ুন: সিলেটে ২৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বর্ডার ড্রাইভ’ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ


সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার সময় সংবাদকে জানান, নতুন করে কী করা হবে সেটা নিয়ে পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।


এদিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ্ত রায় সময় সংবাদকে জানান, এসব চত্বর এবং ফোয়ারা অপসারণের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনকে।


এদিকে সুধীজনরা বলছেন, ২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এসব নান্দনিক ফেয়ারা ১৯ বছরেও তেমন পরিবর্তন হয়নি, তবে চাইলেই সৌন্দর্য বর্ধনে পর্যটননগরীর সিলেটের এসব নান্দনিক ফোয়ারাগুলো সচল করতে প্রয়োজন কোটি টাকার।এই ফোয়ারাগুলো সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, অবহেলার প্রতীক হিসেবেই থেকে যাবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন