বুধবার থেকে ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর দক্ষিণে ফিরতে শুরু করেছে লেবাননের মানুষ। এ সময় রাস্তায় গাড়ির সারি দাঁড়িয়ে যায়। যারা পায়ে হেঁটে ফিরছিলেন তাদের সঙ্গে ছিল ব্যাগ, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে হিজবুল্লাহ অনেক কিছু হারিয়েছে। আপনজন, সম্পদ। ক্ষয়ক্ষতিও কম হয়নি। আঘাত সহ্য করতে হয়েছে অবর্ণনীয়। কিন্তু তারপরও বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির দিনটি ছিল উদযাপনের। তাদের উদযাপন দেখে মনে হয়নি যে এটি চূড়ান্ত বিজয় ছিল না।
আরও পড়ুন:ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানাল ইরান
এ সময় হাজার হাজার রাউন্ড ফাঁকা গুলির শব্দ ভেসে আসছিল। কিন্তু তা যুদ্ধের নয়, উদযাপনের। বৈরুতের রাস্তায় রাস্তায় জড়ো হয়েছিল মানুষ। তাদের হাতে পতাকা। স্লোগানে মুখরিত চারপাশ। লোকেদের হাতে মিষ্টি, কেক। একে অপরকে খাইয়ে আনন্দ উদযাপন। চোখে স্বস্তির পানি। যেন সহিংসতা একেবারে শেষ।
অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর অবশেষে মঙ্গলবার নেতানিয়াহু এক বৈঠকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করে। বুধবার ভোর চারটা থেকে কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি। এর মেয়াদ ৬০ দিন।
চুক্তিতে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার এবং ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন সীমান্তে দেশটির সেনা মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে।
চুক্তির অংশ হিসাবে লেবানন দক্ষিণে ৫০০০ সেনা মোতায়েন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন।
এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ‘১৭০১ রেজল্যুশন’ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এই রেজল্যুশন অনুযায়ী সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার ভেতরে লিতানি নদীর পেছনে সরে আসতে হবে হিজবুল্লাহকে।
আরও পড়ুন:লেবাননের সাথে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ইসরাইলের
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ লেবাননে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আশা প্রকাশ করেছে যে, এটি এই অঞ্চলে বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি