গত ১৫ ডিসেম্বর রাশিয়া ও সংযুক্ত ক্রিমিয়ান উপদ্বীপের মধ্যবর্তী কার্চ প্রণালীতে দুটির ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একটি ট্যাঙ্কার ডুবে যায় এবং অপরটি অগভীর জলে আটকা পড়ে। কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ট্যাঙ্কার দুটি ৯ হাজার ২০০ টন জ্বালানি বহন করছিল, যার প্রায় ৪০ শতাংশই সাগরে ছড়িয়ে পড়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ ঘটনাকে একটি ‘পরিবেশগত বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেন। তেল যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবককে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে লাগানো হয়েছে। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না। এতে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন পুতিন
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্বীকার করে বলেছেন, ‘পরিস্থিতি সত্যিই নাজুক। এই মুহূর্তে পরিবেশগত ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা অসম্ভব। তবে বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।’
এমতাবস্থায় ক্রিমিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। ক্রিমিয়ার মস্কো নিযুক্ত গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ এক টেলিগ্রাম বার্তায় বলেছেন, কার্চ প্রণালীতে তেলজাত দ্রব্য ছড়িয়ে পড়ার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, সাগরের দূষিত জলের এলাকা চিহ্নিত ও পরিস্কার করা হয়েছে এবং নতুন করে দূষণ ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে স্পেন যাওয়ার পথে মৃত বা নিখোঁজ ১০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী
তবে জরুরি পরিস্থিতিমন্ত্রী আলেকজান্ডার কুরেনকভ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘কৃষ্ণসাগরে ট্যাঙ্কার থেকে নতুন করে জ্বালানি তেল চুইয়ে পড়ার আশঙ্কা এবং উপকূলে গিয়ে জমা হওয়ার হুমকি রয়ে গেছে।’
]]>