মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দলটির দফতরর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কুয়েটে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়। যার ভিত্তিতে সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে আমরা সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি।
বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটকে সহানুভূতির সঙ্গে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। সেইসঙ্গে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে এনে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার আহ্বানও জানান তারা।
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ছাত্রলীগ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রমাগত মব কালচার তৈরি করে যে ভয়ঙ্কর পরিবেশ তৈরি করেছিল সেই পথ পরিহার করে সবাইকে সুস্থ মতপ্রকাশের সুযোগ করে দেয়া, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কাঠামোর উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক চর্চার অধিকার, পারস্পরিক সহাবস্থান, মানসম্মত আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থাসহ শিক্ষাব্যবস্থার প্রত্যাশিত সংস্কারের আহ্বান জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে বুয়েটে মানববন্ধন
প্রসঙ্গত: ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার জেরে ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার কুয়েটের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা ডিভিশনের পাবলিক রিলেশনস অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখের সই করা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট কর্তৃক গ্রহণ করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
]]>