কুৎসিত ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ

৫ দিন আগে
টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও ওয়ানডে সিরিজে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান। টানা দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে নাকানিচুবানি খাওয়ালো আফগানরা। শনিবার (১১ অক্টোবর) আবুধাবিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯০ রানেই থামে আফগানদের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাজে ব্যাটিংয়ের প্রতিযোগিতায় নামে টাইগাররা। তাতে ১০৯ রানেই অলআউট হয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হারলো বাংলাদেশ।

শনিবার (১১ অক্টোবর) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮১ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই নিয়ে আফগানদের বিপক্ষে টানা তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ হারলো টাইগাররা।  

 

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই হোচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় তারা। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে বশির আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। স্কোরবোর্ডে ২৫ রান যোগ হতেই নাজমুল হোসেন শান্তকেও হারায় বাংলাদেশ। ৯ বলে ৭ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। 

 

এদিনও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি সাইফ হাসান। ২৩ বলে ২২ রান করে ওমরজাইয়ের শিকার হন তিনি। এরপর অধিনায়ক মিরাজ, জাকের কিংবা নুরুল হাসান সোহান- কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। দলীয় ৯৮ থেকে ১০০ রানের মধ্যে ৪টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।    

 

আরও পড়ুন: বিসিবির আঞ্চলিক অফিস: বাদ পড়ায় রংপুরে ক্রীড়ামোদীদের ক্ষোভ

 

মিরাজ ফেরেন ৭ বলে ৪ রান করে। জাকের আলী ৪৩ বলে ১৮ রান করে ফেরেন সহজ ক্যাচ দিয়ে। নুরুল হাসান সোহান ফেরেন রশিদের বলে বোল্ড হয়ে। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ১৫ রান। 

 

তানজিম হাসান সাকিব তানভীর ইসলাম ফেরেন কোনো রান না করেই। দুজনকেই এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলেন রশিদ খান। ১৫ বলে ৫ রান করা রিশাদকেও ফেরান রশিদ খান। আর তাতেই ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। আফগানদের হয়ে রশিদ খান নেন ৫ উইকেট। এছাড়া আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৩টি ও নাঙ্গেলিয়া খারোতে নেন ১ উইকেট।

 

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা ভালো শুরু পায়নি আফগানিস্তানও। স্কোরবোর্ডে ১৮ রান যোগ হতেই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট হারায় তারা। তানজিম সাকিবের বলে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১১ বলে ১১ রান করা এই ব্যাটার।  

 

আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকার বিপক্ষে নামিবিয়ার ঐতিহাসিক জয়

 

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। সেদিকুল্লাহ আতাল আউট হন দলীয় ৩৮ রানে। ১৩ বল খেলে ৮ রান করে তানভীর ইসলামের বলে তানজিম সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।  

 

রহমত শাহ রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরলে তাদের বিপদ আরও বাড়ে। হাশমতউল্লাহ শহীদি ফেরেন মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৪ রান। আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক আজমতউল্লাহ ওমরজাই এদিন আউট হন কোনো রান না করেই। মোহাম্মদ নবি ৩০ বলে ২২ রান করে ফেরেন সাকিবের বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে। 

 

শেষদিকে ইব্রাহিমের সাথে দলের হাল ধরেন এএম গাজানফার। ১৪০ বলে মাত্র তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৯৫ রান করে বিদায় নেন ইব্রাহিম জাদরান। ১৮ বলে ২২ রান করে গাজানফার বিদায় নিলে আবারো মাঠে নামেন রহমত শাহ। তবে চোট নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি। আর তাতেই তাতে ৪৪.৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানে থামে আফগানিস্তানের ইনিংস। 

 

বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ তিনটি এবং তানজিম হাসান সাকিব ও রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট পান। একটি উইকেট শিকার করেন তানভীর ইসলাম।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন