কুষ্টিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৩ দোকান পুড়ে ছাই

৩ সপ্তাহ আগে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৩টি মুদি, কীটনাশক, সার, তেলসহ হরেক রকম দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের খালবাজার নামক বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।


অগ্নিকাণ্ডে দোকান ঘর, নগদ টাকা ও মালামালসহ প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা অগ্নিকাণ্ডের কোনো কারণ খুঁজে না পেলেও ফায়ার সার্ভিসের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে।


ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা হলেন- পিয়ার আলীর ছেলে মালেক মৃধা, আলম স্টোরের মালিক মো. আলম, রফিকুল স্টোরের মালিক রফিকুল ইসলাম, নাবিল এন্টারপ্রাইজের মালিক আজিজুর রহমান, বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক জিয়াউর রহমান, ইসরাফিল জুয়েলার্সের মালিক মো. ইসরাফিল, জুয়েল স্টোরের মালিক জুয়েল রানা, হাফিজ স্টোরের মালিক হাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর স্টোরের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন, ইমরান স্টোরের মালিক মো. ইমরান, আসাদুল স্টোরের মালিক আসাদুল ইসলাম, রফিক স্টোরের মালিক রফিকুল মৃধা ও মুদিদোকানী ইসরাফিল হোসেন।


এ বিষয়ে খালবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসমুল হোসেন বলেন, বাজারের সবচেয়ে বড় দোকান আজিজের। সার, কীটনাশক ও জ্বালানি তেলের ডিলার। সেই দোকান থেকে সকাল ১১টার দিকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। দ্রুত দোকানের সাটার ভেঙে ঢুকে দেখি তেলের ড্রামের পাশেই একটু আগুনের ফুলকা। সেখানে পানি ঢালতেই দাউ দাউ করে আগুন বেড়ে গেল। প্রায় এক মিনিটের মধ্যেই সব জায়গা ছড়িয়ে গেল আগুন।


আরও পড়ুন: রূপনগরে অগ্নিকাণ্ডের ১২ দিন পর পুড়ে যাওয়া গার্মেন্টস থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার


তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস মিলে প্রায় দেড় ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে ১৩টি দোকান, নগদটাকাসহ সব পুড়ে যায়। এতে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার মালমাল এবং প্রায় ৪০ লাখ টাকার দোকান ঘর পুড়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, মরা কালিগঙ্গার ধারে পাকা সড়ক। সকড়ের দুইপাশে শতাধিক দোকান নিয়ে খাল বাজার। সেখানে অন্তত ১৩টি দোকান পুড়ে গেছে। অবশিষ্ট আছে শুধু ছাই আর ঘরের অংশবিশেষ। উৎসুক জনতা ভিড় করেছে। সবকিছু হারিয়ে আহাজারি করছেন ব্যবসায়ীরা।


কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্দ্র প্রসাদ বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা ১০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে ততক্ষণে প্রায় ১৩টি বিভিন্ন প্রকার দোকান পুড়ে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণটা তদন্ত শেষে পরে বলা যাবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে।


আগুন লাগার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আগুনের সুত্রপাত বের করতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। লিখিত আবেদন পেলে সরকারি বরাদ্দ প্রাপ্ত সাপক্ষে সহযোগিতা করা হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন