কুয়েতে ৬৭টি জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ

২ সপ্তাহ আগে
কুয়েতে জননিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় জিলিব আল-শুয়েখ এলাকায় জরাজীর্ণ ৬৭টি ভবনভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়েত পৌরসভা। সংশ্লিষ্ট ভবনের মালিকদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ভবন খালি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এই মর্মে গত রোববার (২ নভেম্বর) সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, পৌরসভার সাম্প্রতিক পরিদর্শনে দেখা গেছে, উল্লিখিত ভবনগুলো অত্যন্ত জরাজীর্ণ এবং ধসে পড়ার উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। 

 

এরপর গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি পরীক্ষা, মান নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিবেদনেও নিশ্চিত করা হয় যে, ভবনগুলোর কাঠামোগত অবস্থা অস্থিতিশীল এবং তা জননিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছে।

 

এরপর পৌরসভা ভবনগুলো ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। জানায়, জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত এই ভবনগুলো অপসারণ প্রয়োজন।

 

আরও পড়ুন: মালদ্বীপে ল্যান্ডিং ক্রাফট দুর্ঘটনায় বাংলাদেশিসহ নিহত দুই

 

নির্দেশনায় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মালিকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে পৌরসভা নিজ উদ্যোগে ভবনগুলো ধ্বংসের কাজ সম্পন্ন করবে।

 

সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো দুই সপ্তাহের মধ্যে মালিকদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। সময়মতো নির্দেশনা মানা না হলে পৌর প্রশাসন সরাসরি হস্তক্ষেপ করে ব্যবস্থা নেবে।

 

পৌরসভার মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মানাল আল-আসফোর বলেন, ‘জননিরাপত্তা রক্ষা ও নগর মান বজায় রাখতে পৌরসভা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিয়মিত পরিদর্শন ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে দুর্ঘটনা রোধে আমরা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

 

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ৯৩ জন বাংলাদেশির বকেয়া বেতন পরিশোধে হাইকোর্টের নির্দেশ

 

কুয়েতের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে হাসাবিয়া অঞ্চলসহ পুরনো এলাকাগুলোতে অনেক জরাজীর্ণ ভবন রয়েছে এবং এগুলোতে এখন প্রবাসীরা বসবাস করছেন। এসব ভবনের বেশিরভাগই বাসযোগ্য মানদণ্ডের বাইরে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

 

এছাড়া সারা কুয়েত জুড়ে বিভিন্ন আবাসিক ভবনে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ভবনের বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন