বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে কফিন মিছিল করেন তারা। মাথায় সাদা কাপড় ও প্রতীকী মরদেহ নিয়ে মিছিলে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ারের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুলছে হল
উল্লেখ্য, উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অনশনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাসেও কর্মসূচি প্রত্যাহার করেননি তারা। উল্টো দাবি আদায়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা।
বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে শিক্ষা উপদেষ্টা কুয়েটে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন, এবং তাদের দাবি দাওয়া শোনেন। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে গত ১৮ ফেব্রুয়ারির হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: কুয়েটে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি ছাত্রদলের
এদিকে, কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং সবগুলো হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সিন্ডিকেট সভা শেষে বিকেলে এ তথ্য জানান শিক্ষকরা।
অন্যদিকে, চাপ দিয়ে উপাচার্যকে অপসারণ করা হলে তা মেনে নেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।