রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে, ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক নিউটন দাস আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, এ অগ্নিকাণ্ডে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১২টার দিকে হঠাৎ বাজারের একটি দোকানে আগুন দেখতে পান ব্যবসায়ীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাজারে। খবর পেয়ে চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কাজ শুরু করলেও, আগুন ছড়িয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গভীর রাতে ফার্নিচারের দোকানে ভয়াবহ আগুন
এরপর পুড়ে ছাই হয়ে যায় একের পর এক দোকান। এমনকি, আগুনের তীব্রতা ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যান চলাচলও সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক নিউটন দাস সময় সংবাদকে জানান, আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দাউদকান্দি এবং কুমিল্লা ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে যুক্ত হন। প্রত্যেক স্টেশনের দুটি করে তিন স্টেশনের ছয়টি ইউনিট কাজ করে। সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। একটি মিষ্টির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং মুহূর্তের মধ্যে তা বাজারে ছড়িয়ে পড়ে।
এই অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০টি দোকান পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে, অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
]]>