হজরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা ৭ ব্যক্তিকে সেই দিনে তার (আরশের) ছায়ায় স্থান দেবেন, যেদিন তার (আরশের) ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না। কিয়ামতের দিনটি হবে অত্যন্ত দীর্ঘ। আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘সেই দিনের পরিমাণ তোমাদের গণনায় সহস্র বৎসর।’ (সুরা সাজদা ৫) কোরআনের অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘ওই দিনের ব্যাপ্তি পঞ্চাশ হাজার বছর।’ (সুরা মাআরিজ ৪) সেদিন সূর্য মাথার এক বিঘত ওপরে থাকবে, পায়ের নিচে জমিন হবে তামার। পাপী-তাপী গুনাহগারেরা ঘামতে থাকবে। পাপের পরিমাণ হিসাবে কষ্টের ও ঘামের পরিমাণ হবে। কারও হাঁটু পর্যন্ত, কারও কোমর, কারও বুক, কারও গলা পর্যন্ত, কারও ঘামে সাঁতার কাটতে হবে; তারা তাতে হাবুডুবু খাবে। (বুখারি ৬৫৩২)
আরও পড়ুন: কবর স্বপ্ন দেখলে কী হয়?
হাশরের ময়দানে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এগোনো যাবে না। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত নবী সা. বলেছেন, কেয়ামতের দিন যখন আল্লাহর দরবারে সবাই হিসাব দেওয়ার জন্য দাঁড়াবে, মানুষ পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নিজের জায়গা থেকে সরতে পারবে না। সেই পাঁচটি প্রশ্ন হলো,
১. জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, কোন কাজে সে জীবন ব্যায় করেছে? ২. যৌবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, কোন কাজ করে তার যৌবন অতিবাহিত হয়েছে?
৩. ধন সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, কী ভাবে সে সম্পদ উপার্জন করেছে? ৪. সেই সম্পদ কোথায় ব্যায় করেছে? ৫. যা জানতো তার উপর কতটুকু আমল করেছে? (সুনানে তিরমিজি)
]]>