করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর থেকে চামড়াবন্দর পর্যন্ত সড়কটি এখন যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার চিত্র। খানাখন্দ আর ধুলা–কাদায় ভরা এই সড়কে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বর্ষায় চলাচল দুরূহ হয়ে পড়ে, আর শুকনা মৌসুমে ধুলায় শ্বাস নেয়া দায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে কেবল মাটি ফেলা আর কিছু জায়গায় আংশিক পাকা করার কাজ চলছে। পুরোপুরি সংস্কার বা নতুন সড়ক নির্মাণের কাজ এখনো শুরুই হয়নি চামড়াবন্দর পর্যন্ত অংশে।
নিয়ামতপুর এলাকার সাবেক মেম্বার রেনু মিয়া বলেন, ‘ছয় বছর ধরে রাস্তা নিয়ে কথা শুনছি। কাজ হচ্ছে না, বরং রাস্তাটা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। বৃষ্টি হলে পানি জমে, শুকালে ধুলায় কিছু দেখা যায় না। দ্রুত কাজ শেষের জন্য ওপর মহলের দৃষ্টি কামনা করছি।’
আরও পড়ুন: ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে রেলপথ অবরোধ, ট্রেনে বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ
গৃহিণী অনিমা রানি বলেন, ‘বর্ষায় কাদা, অন্য সময় ধুলাবালি দুই সময়েই ভোগান্তি। বাচ্চা নিয়ে বের হওয়া মানে একরকম যুদ্ধ। সরকারের লোকজন শুধু কথা বলে, কাজ হয় না।’
জানা গেছে, ২০১৯ সালে ৭৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে আট কিলোমিটার বাইপাস সড়কসহ ‘কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াবন্দর আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ হাতে নেয় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। প্রকল্পের আওতায় সড়কটির দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ থেকে নিয়ামতপুর পর্যন্ত অংশে কিছু কাজ এগোলেও নিয়ামতপুর থেকে চামড়াবন্দর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশে এখনো কোনো কাজ শুরু হয়নি।
প্রকল্পে সড়ক প্রশস্তকরণ, সেতু-কালভার্ট নির্মাণ এবং নতুন বাইপাস সড়ক নির্মাণের কথা রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের জুনে।
সওজ কিশোরগঞ্জ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘শহরের একরামপুর থেকে নিয়ামতপুর পর্যন্ত সড়কের কাজ চলছে। নিয়ামতপুর থেকে চামড়াবন্দর অংশে এখনো জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়নি। আমরা মন্ত্রণালয়ে সংশোধিত প্রস্তাব পাঠিয়েছি। জমি পাওয়া মাত্রই কাজ শুরু করা হবে। তবে বর্ধিত সময়ের মধ্যে কিশোরগঞ্জ থেকে নিয়ামতপুর পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ করার আশা করছি।’
]]>
৩ দিন আগে
২








Bengali (BD) ·
English (US) ·