কিছু গোষ্ঠী সার সংকটের গুজব ছড়াচ্ছে: ডিএই মহাপরিচালক

১ সপ্তাহে আগে
দেশে সারের কোনো সংকট নেই বিভ্রান্তিকরভাবে কিছু গোষ্ঠী মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. ছাইফুল আলম। তিনি বলেন, ‘কিছু গোষ্ঠী বিভ্রান্তিকরভাবে প্রচার চালাচ্ছে যে দেশে সারের ঘাটতি দেখা দেবে এটি সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দেশের সার মজুত পর্যাপ্ত রয়েছে এবং মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সার ইতোমধ্যেই সরবরাহ করা হয়েছে।’

বুধবার (১৫ অক্টোবর) মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঢাকা অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ের এক অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ডিএই মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘আগে প্রতি ইউনিয়নে একজন বিসিএসসি ডিলার থাকলেও এখন থেকে তিনজন ডিলার নিয়োগ দেয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডে আউটলেট খোলার সুযোগ থাকবে। ফলে সারের সংকট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

 

তিনি জানান, ২০১০ সালের নীতিমালা অনুযায়ী যারা বিডিসি বা বিজিডিএল-এর মাধ্যমে সার ডিলার হয়েছিলেন তারা মূলত নন-ইউরিয়া সার পেতেন। অন্যদিকে বিসিএসসি ডিলাররা ইউরিয়াসহ সব ধরনের সার পেতেন। এ বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৬১৪ বস্তা নকল সার ধ্বংস

 

মো. ছাইফুল আলম বলেন, ‘সরকার এখন ডিলার নিয়োগ ও মনিটরিং প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের সংস্কার আনছে। একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য ও ইআরডি সচিবসহ কৃষি ও শিল্প উপদেষ্টারা রয়েছেন। এই কমিটি বিদ্যমান ডিলারদের যাচাই-বাছাই করবে এবং প্রয়োজনে নতুন ডিলার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আগে খুচরা বিক্রেতাদের জামানত ছিল ৩০ হাজার টাকা। এখন নতুন নীতিমালায় ডিলারদের জামানত বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে সার ব্যবসায় শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।’

 

মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। যেখানে মনিটরিং দুর্বল, সেখানে সংকট তৈরি হতে পারে। তাই সবাইকে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে হবে।’

 

সারের যথাযথ ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কৃষকরা এখনো ইউরিয়া সার অতিরিক্ত ব্যবহার করেন, কারণ এতে দ্রুত ফসলের বৃদ্ধি দেখা যায়। কিন্তু অতিরিক্ত ইউরিয়া ব্যবহারে মাটির ক্ষতি হয়, রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ বাড়ে। প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী সার ব্যবহার করলে উৎপাদন যেমন ভালো হবে, তেমনি মাটির উর্বরতাও বজায় থাকবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন