সৌদি আরবের কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন অধ্যাপক, সেলুলার থেরাপিতে যুগান্তকারী আবিষ্কার করা একজন কানাডিয়ান বিজ্ঞানী এবং কার্বন ন্যানোটিউব নিয়ে গবেষণা করা একজন জাপানি বিজ্ঞানী এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছেন।
কিং ফয়সাল পুরস্কারের মহাসচিব ড. আবদুল আজিজ আল সিবাইল বলেন, ‘সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত গভীর পর্যালোচনার পর পুরস্কারের চারটি বিভাগে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, মেডিসিন এবং বিজ্ঞান বিভাগ। তবে ইসলাম সেবায় পুরস্কার ঘোষণাটি মাসের শেষ দিকে করা হবে।’
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ‘আরব উপদ্বীপে প্রত্নতত্ত্ব’ বিষয়ে কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদ আবদুল আজিজ আল রশিদ এবং অধ্যাপক সাঈদ ফাইয আল সাঈদকে যৌথভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের মাহফিলে আসুন, দেখা হবে, কথা হবে: আজহারী
আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ‘আরবি সাহিত্যে পরিচয়ের অধ্যয়ন’ বিষয়ে উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়ায় পুরস্কার স্থগিত করা হয়েছে।
মেডিসিন বিভাগে ‘সেলুলার থেরাপি’ বিষয়ে কানাডিয়ান বিজ্ঞানী ড. মিশেল স্যাডেলেনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে, যিনি কার-টি প্রযুক্তির মাধ্যমে রক্তের ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন।
বিজ্ঞান বিভাগে পদার্থ বিজ্ঞানে পুরস্কৃত হয়েছেন জাপানের মেইজো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমিও ইজিমা। তিনি কার্বন ন্যানোটিউব আবিষ্কারের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন, যা পদার্থ বিজ্ঞান এবং উপাদান বিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।
কিং ফয়সাল পুরস্কার ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৭৯ সালে প্রথম পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কার বিজয়ীদের দুই লাখ মার্কিন ডলার, ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণপদক এবং একটি সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়।
]]>