কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিডিআরের ১৪ সদস্য

১ সপ্তাহে আগে
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দফরে বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় জামিন লাভের পর ১৪ জন বিডিআর সদস্য গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) কাশিমপুর-১ থেকে ১ জন ও কারাগার-২ থেকে ১৩ জনসহ মোট ১৪ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।

\বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন।


তিনি আরও জানান, জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌছার পর যাচাই শেষে বুধবার দুপুরে প্রথম দফায় ৯ জন এবং পরে বিকালে আরও ৪ জনসহ মোট ১৩ জন সাবেক বিডিআর সদস্যকে কারাগার-২ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কাশিমপুর কারাগার-১ থেকে আরো একজন সাবেক বিডিআর সদস্যকে মুক্তি দেয়া হয়।


মুক্তি পাওয়া বিডিআর সদস্যরা হলেন- ঝিনাইদহ জেলার মোঃ সরোয়ার হোসেন, নেত্রকোনা জেলার শেখ ফরিদ ও আরাফাত, চট্টগ্রাম জেলার শেখর প্রসাদ চৌধুরী, পাবনার জেলার আব্দুল কাদের, যশোর জেলার সিরাজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলার শফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলার আমিনুল ইসলাম, জামালপুর জেলার জিয়াউল হক। অপর ৪ জনের নাম জানা যায়নি।


কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত এ ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সেখান থেকে মোট ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিদ্রোহের ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যার অভিযোগে একটি ও বিস্ফোরক বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি পৃথক মামলা হয়।


আরও পড়ুন: বিডিআর হত্যাকাণ্ড: ই-মেইলে জবানবন্দি দিলেন আ. লীগের পলাতক দুই নেতা


সূত্র আরো জানায়, উক্ত মামলায় ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। খালাস পান ২৭৮ জন। মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।


সূত্র জানায়, কারাবন্দি সাবেক ১৪ বিডিআর সদস্যকে আদালতের দেয়া জনের জামিনের কাগজপত্র মঙ্গলবার রাতে কারাগারে পৌঁছায়। যাচাই-বাছাই শেষে বুধবার তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।


উল্লখ্য, বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় এর আগে ২১৮ জন সাবেক বিডিআর সদস্য বিভিন্ন কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন