কেউ নেককার, পরহেযগার বা উত্তম চরিত্রের অধিকারী হলে তার গুণ বর্ণনা করা যায়, কিন্তু সেই প্রশংসা যেন আল্লাহর জ্ঞানের ওপরে নির্ভর না করে বরং নিজের সীমিত ধারণা হিসেবে হয়, এই শিক্ষা দিয়েছেন প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা.। নিচে এমন একটি মাসনূন দোআ এবং তার ফজিলত তুলে ধরা হলো।
أَحْسِبُ فُلَانًا وَاللَّهُ حَسِيبُهُ وَلَا أُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا أَحْسِبُهُ كَذَا وَكَذَا উচ্চারণ: আহসিবু ফুলানান, ওয়াল্লাহু হাসীবুহু, ওয়ালা উযাক্কি ‘আলাল্লাহি আহাদান, আহসিবুহু কাযা কাযা।
আমি অমুককে এইরূপ মনে করি, আল্লাহই তাকে ভালো জানেন এবং তিনিই তার প্রকৃত হিসাব রাখেন। আমি আল্লাহর উপর কাউকে নিশ্চয়তার সাথে প্রশংসা করি না। আমি তাকে অমুক অমুক গুণের অধিকারী মনে করি।
আরও পড়ুন: ১০২ বছরে হজের খুতবা দিয়েছেন যে ১৫ জন খতিব
ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী, কাউকে সামনে বাড়িয়ে বা অতিরিক্ত প্রশংসা করা, বিশেষত আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত বিষয় যেমন নেক আমল বা তাকওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে ভালো বলা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কারণ, কারো অন্তরের অবস্থা এবং প্রকৃত ইমানের মান আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। তাই প্রশংসা করতে হলে সেটি এমনভাবে করতে হবে যাতে নিজের ব্যক্তিগত ধারণা প্রকাশ পায় এবং আল্লাহর জ্ঞান ও সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সম্মান বজায় থাকে।
এই দোয়া আমাদের শেখায় বিনয়, সীমাবদ্ধতা ও আল্লাহর সর্বজ্ঞতাকে স্বীকার করার আদব—যা একজন মু’মিনের ভাষা ও ব্যবহারে থাকা উচিত।
প্রশংসা তখনই ফলপ্রসূ ও গ্রহণযোগ্য হয় যখন তা সুন্নাত মোতাবেক হয়। অতি প্রশংসা যেমন গর্ব ও অহংকার সৃষ্টি করতে পারে, তেমনি কারো মনের মধ্যে অহংকার ঢুকিয়ে দিতে পারে। তাই আল্লাহর রসুল সা. আমাদের এমন দোআ শিখিয়েছেন, যা আমাদের বক্তব্যকে বিনয়ী ও সীমার মধ্যে রাখে। আসুন আমরা এই দোআ স্মরণ রাখি ও বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করি।
]]>