প্রতিবেদন মতে, গত রোববার (১৭ আগস্ট) কারেনি রাজ্যের মাওচি শহরে দফায় দফায় বিধ্বংসী বিমান হামলা চালায় জান্তার যুদ্ধবিমান। হামলাটিকে রাজ্যের এ যাবৎকালের সবচেয়ে মারাত্মক বিমান হামলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) কারেনি স্টেট ইনটেরিম এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল (আইইসি) জানায়, হামলা নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে।
আইইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মাওচিতে বহু খনি রয়েছে। তাই অনেক মানুষ এখানে ব্যবসা করতে আসে, চাল ও খাবার বিক্রি করে। জান্তা এই শহরের আর্থ-সামাজিক জীবন ধ্বংস করার এবং মানুষকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে নির্বাচন: ভোটে ব্যাঘাত ঘটালে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড!
এই কর্মকর্তা আরও জানান, হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, আটজন নারী ও শিশু রয়েছেন। ছয়টি লাশ এতটাই ক্ষতবিক্ষত হয়েছে যে তাদের লিঙ্গ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া একজন নারী এবং চারজন পুরুষ আহত হয়েছেন।
মাওচি টিন ও টাংস্টেন খনির জন্য পরিচিত। গত বছরের ২৮ জানুয়ারী কারেনি প্রতিরোধ বাহিনীর একটি জোট এটার দখল নেয়। তারপর থেকে সরকারি বাহিনী শহরটিতে ঘন ঘন বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।
প্রতিবেদন মতে, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালেও জান্তা যুদ্ধবিমানগুলো মাওচিতে আক্রমণ চালিয়েছে। তবে সর্বশেষ হামলায় হতাহতের ঘটনা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: রাখাইনে তীব্র খাদ্য সংকট, অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে মানুষের
জান্তা বাহিনী যুদ্ধাপরাধ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আইইসি।
]]>