কারাবন্দি দিবসে রাজপথে হাজারো ফিলিস্তিনি

১ সপ্তাহে আগে
কারাবন্দি দিবসে রামাল্লার রাজপথে নামলেন হাজারো ফিলিস্তিনি। হাতে প্রিয়জনের ছবি, হৃদয়ে শোক নিয়ে স্বজনদের মুক্তি দাবি করছেন তারা। বলছেন, ইসরাইলি কারাগারে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের ভয়াবহ খেলা চলছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস বলেছে, ইসরাইলের দেয়া গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে তারা। এরই মধ্যে গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা অব্যাহত রয়েছে। একদিনে নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫ জন।

 

প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজোনার্স ডে তথা ফিলিস্তিনি বন্দি দিবস পালিত হয় ১৭ এপ্রিল। প্রতিবছর আন্তর্জাতিক এই দিবসটি পালনের মধ্যদিয়ে ইসরাইলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের সংগ্রাম ও মুক্তির ওপর আলোকপাত করা হয়।

 

মূলত ১৯৭৪ সাল থেকে ফিলিস্তিনি বন্দি দিবস পালন করা হলেও এবার ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে বিশেষ করে গাজা উপত্যকা ও সমগ্র অধিকৃত ফিলিস্তিনে জায়নবাদী ইসরাইলের চলমান গণহত্যার মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

 

ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, দিবসটি উপলক্ষে একদিন আগেই বুধবার (১৬ এপ্রিল) অধিকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তাদের হাতে হাতে প্রিয়জনের ছবি। দাবি একটাই, ইসরাইলি কারাগার থেকে স্বজনদের মুক্তি।

 

আরও পড়ুন: এবার নিজেই গাজায় গিয়ে হামলার হুমকি দিলেন নেতানিয়াহু!

 

নাবলুসের শহীদ স্কয়ারে শত শত ফিলিস্তিনি সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। স্বজনদের মুক্তির দাবির পাশাপাশি তারা গাজার জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। নাবলুস ছাড়াও তুবাস, বেথলেহেম, কালকিলিয়া ও রামাল্লায় একই রকম বিক্ষোভ হয়েছে।

 

বিক্ষোভকারীরা জানান, ইসরাইলের কারাগারে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নির্মম নির্যাতনে দিন কাটছে বন্দিদের। হামাস বলছে, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের জীবনের দায় ইসরাইলকেই নিতে হবে। কারাবন্দিদের মুক্তিই যুদ্ধবিরতির মূল শর্ত।

 

কালকিলিয়ার প্রিজনার্স ক্লাবের পরিচালক লাফি মানসুরা সমাবেশে তার বক্তব্যে জানান, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে আটক কর হয়েছে। বন্দির সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, যা এখন প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি।

 

আরও পড়ুনর: গাজা ফিলিস্তিনিদের ‘গণকবরে’ পরিণত হয়েছে: দাতব্য সংস্থা

 

গাজা নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চললেও থেমে নেই ইসরাইলি বর্বরতা। হামলায় একদিনে নিহত হয়েছেন ৩৫ জন। এরই মধ্যে মিশরের মাধ্যমে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেয়েছে হামাস। যেখানে প্রথম সপ্তাহেই অর্ধেক জিম্মি মুক্তির কথা বলেছে তেল আবিব। বিনিময়ে থাকবে খাদ্য ও ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে হামাস।

 

এদিকে গাজার পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। খাদ্য, পানি ও ওষুধের হাহাকার সবখানে। মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি জরুরি।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন