রোববার (২৩ মার্চ) প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) একটি প্রাথমিক নির্বাচনের আয়োজন করে যেখানে একমাত্র প্রার্থী ছিলেন ইমামোগলু। এই নির্বাচনে প্রায় দেড় কোটি মানুষ কারাবন্দি মেয়রকে ভোট দিয়েছেন।
দলটি সোমবার ঘোষণা করেছে যে, আনুমানিক ১ কোটি ৩০ লক্ষ নির্দলীয় সদস্য ইমামোগলুকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তাদের আনুষ্ঠানিক প্রার্থী হিসেবে সমর্থন করেছেন, যা ২০২৮ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
আরও পড়ুন:ইস্তাম্বুলের মেয়রকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, নয় সাংবাদিক আটক
এর আগে বুধবার প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বি ইমামোগলুকে দুর্নীতির অভিযোগে আটক করার পর থেকে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় তুরস্কে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নামেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী।
রোববার (২৩ মার্চ) তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, যা রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। রোববারও টানা পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে দেশটিতে।
অনেক শহরে রাস্তায় সমাবেশ করার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, শান্তিপূর্ণ সরকার বিরোধী বিক্ষোভ করেন তুরস্কের মানুষ।
এর আগে ইমামোগলুর উপর আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক দেয় প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)। আদালতের সিদ্ধান্তকে তারা রাজনৈতিক এবং অগণতান্ত্রিক বলে অভিহিত করে।
আরও পড়ুন:মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে এরদোয়ানের ‘হাতে’ তুলে দিলেন ট্রাম্প!
তবে তুরস্ক সরকারের দাবি ইমামোগলুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় এবং আদালত স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করছেন।
সূত্র: আল জাজিরা
]]>