ব্যতিক্রম এই বিয়েটি পড়ান কাজি সজিব আহমেদ তালুকদার।
বিয়ের কাজি জানান, শিমুলের সাথে মিতার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন একপর্যায়ে ওই তরুণী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে শিমুলকে নানাভাবে বিয়ের জন্য চাপ দেন তিনি। কিন্তু শিমুল নানা অজুহাতে বিয়ে না করে এক পর্যায়ে পালিয়ে যান।
এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় কনের বাবা বাদি হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এই মামলায় শিমুল কারাগারে বন্দি আছেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণী
এদিকে কাজি সজিব আহমেদ তালুকদার জানান, সম্প্রতি শিমুল জামিনের আবেদন করলে উচ্চ আদালত তাদের দুই জনের বিয়ের নির্দেশ দেন।
পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে উভয়পক্ষের সম্মতিতে এবং তাদের অভিভাকদের উপস্থিতিতে বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে এই বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক: আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারের জেলার আরিফুর রহমান বলেন, মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ে চলাকালীন সময়ে কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বর-কনের আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।