আদালত সূত্রে জানা গেছে, শনিবার নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের খুলনা মহানগরের সহসভাপতি রনবীর বাড়ই সজলকে খালিশপুর থানার একটি মামলায় খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির করা হয়। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং ডিম নিক্ষেপ করেন। তাকে মেট্রোপলিটন গারদ খানায় নামানোর সময় বিক্ষুব্ধরা কিল-ঘুষি মারেন।
এর আগে রণবীর বাড়ই সজলকে ডিবি পুলিশ বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার খাসির ডাঙ্গা গ্রাম থেকে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেফতার করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড সিপি) মোহা. আহসান হাবীব বলেন, শুক্রবার রাতে খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সজলকে বাগেরহাট জেলার মোংলার খামেরডাঙ্গা বাজার থেকে গ্রেফতার করে। সজল ছাত্রলীগের খুলনা মহানগর শাখার সহসভাপতির পদে থাকা অবস্থায় দলীয় ক্যাডার বাহিনী নিয়ে মহানগরী এলাকায় দেশীয় অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ভেতরে থাকা টিভি, আসবাবপত্র লুটপাট করাসহ একাধিক অপরাধজনক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে খুলনা জেলা এবং মহানগরীসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলাসহ সাতটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।